সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর পর থেকেই আর্থিক সংকটে ধুঁকছিল মালদ্বীপ। এহেন পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়াল নয়াদিল্লিই। ভারতের থেকে সাহায্য পেয়ে খুশি দ্বীপরাষ্ট্র। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কাছে মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন মুসা। সেখানে তিনি জয়শংকর ও ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লেখেন, 'এই উদার আচরণে দুই দেশের বন্ধুত্বের জোরই প্রতিফলিত হচ্ছে।' ঠিক কীভাবে দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত? প্রসঙ্গত, এর আগের সরকারের আমলেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোট ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রেজারি বিল কেনে। প্রতিটি ৫০ মিলিয়ন ডলারের। জানুয়ারি মাসে একটি ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিল শোধ করে দেয় মুইজ্জু সরকার। কিন্তু পরবর্তী একটি ৫০ মিলিয়ন বকেয়া ছিল মে মাসে। সেটি শোধের সময়সীমা এক বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয় মোদি সরকার। এবার ফের আর্থিক দায়ে দেনাগ্রস্ত মালদ্বীপের অনুরোধে আরও একটি বিল শোধের সময়সীমা একবছর বাড়াল মোদি সরকার।
‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পরই ফাটল ধরে ভারত-মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। তার পর নানা কারণে সংঘাত আরও তীব্র হয়। জোর ধাক্কা খায় সেদেশের অর্থনীতি। যার ফলে জনগণের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে সরকারের প্রতি। অবস্থা বেগতিক বুঝে মুইজ্জু এখন অনেকটাই ভারতবিরোধী নীতি থেকে সরে এসেছেন। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির দাবি করেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে যা ঘটেছিল তা একান্তই ‘ভুল বোঝাবুঝি’। এবং তা মিটে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও চাঙ্গা হয়নি অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে সেই নয়াদিল্লির উপরই ভরসা করতে হচ্ছে মালদ্বীপকে। এদিকে জানা গিয়েছে, মুইজ্জু নিজেই নাকি শিগগিরি আসবেন ভারতে। আর্থিক চাপ বড় বালাই, সন্দেহ নেই। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসলে রেকর্ড হারে ভারতীয় পর্যটক কমে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। তার উপর মাথায় রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা। এই পরিস্থিতিতে যে করে হোক ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নতি চাইছে মালদ্বীপ। তবে চিনও ঋণের 'ফাঁদ' পেতেছে তাদের মন পেতে। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বেজিংয়ের ফাঁদ এড়িয়ে মোদি সরকারের হাত ধরাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করছেন মুইজ্জু।