সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ মালদ্বীপের (Maldives)। সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পর এবার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করল সেদেশের সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফরেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে চুক্তি। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। উল্লেখ্য, চিনপন্থী হিসাবেই আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত মালদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৯ সালে মালদ্বীপ সফরে গিয়ে এই চুক্তি সই করেছিলেন মোদি। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালে জুন মাসে। দুই দেশের এই চুক্তি অনুযায়ী, মালদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষামূলক কাজকর্ম চালাবে ভারতীয় নৌসেনা। তার ফলে নৌপরিবহন, আর্থিক উন্নতি, পরিবেশরক্ষার মতো নানা ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করবে দুই দেশ। এছাড়াও জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়াতেও কার্যকরী ভূমিকা থাকবে ভারতীয় নৌসেনার। চুক্তি অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তিনবার মালদ্বীপে কাজ করেছে ভারতীয় নৌসেনা। কিন্তু চুক্তির শর্তাবলি তুলে ধরেই বৃহস্পতিবার এটি বাতিল করেছে মালদ্বীপ। এই চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে রাজি নয় মুইজ্জু প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: নিজের হাতে চার সন্তানকে খুন! ২০ বছর জেলে মা, সত্যিটা কিন্তু অন্য]
সেদেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, আগামী দিনে মালদ্বীপের জলসীমায় কেবল দেশের সংস্থাগুলোই কাজ চালাবে। জলসীমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মালদ্বীপের বাইরে বেরবে না। আরও বলা হয়, পূর্ববর্তী সরকার বেশ কিছু চুক্তি করেছিল যেগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার পরিপন্থী। সেগুলো খুঁজে বের করে পর্যালোচনা করে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন মুইজ্জু। সেখানেও দেশের সার্বভৌমত্বের কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মুইজ্জুর নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ ভারত বিরোধিতা। এটাই তাঁর তুরুপের তাস। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে দেশ থেকে সরানো হবে ভারতীয় সেনাকে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন এই নেতা সাফ জানিয়ে দেন, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনা থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবং কেবল ভারত নয়, সমস্ত বিদেশি সেনাকেই তাঁরা সরিয়ে দেবেন। তবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করে সরাসরি ভারতের বিরোধিতা শুরু করলেন মুইজু, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।