সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের রক্তাক্ত মালি। সোমবার আফ্রিকার এই দেশটিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে অন্তত ১০০ জনকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
[আরও পড়ুন: এবার পর্যটকদের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের বন্দোবস্ত করছে নাসা, কত খরচ জানেন?]
বিবিসি সূত্রে খবর, সোমবার মধ্য মালির ডোগান উপজাতি অধ্যুষিত সোবামে দা গ্রামে হামলা চালায় ফুলানি জনগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র দল। সানগা শহরের পাশে অবস্থিত ওই গ্রামে প্রায় ৩০০ ডোগানের বাস। হামলার পর মাত্র ৫০ জনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।উদ্ধার করা হয়েছে ৯৫টি পোড়া মৃতদেহ। বাকিদের অপহরণ করে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোবামে দা গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করেছে রাষ্ট্রসংঘ। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে তীব্র উত্তেজনা রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটি।
ওই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে এক প্রত্যক্ষদর্শী ডোগান মহিলা বলেছেন, “ওরা কয়েকশো লোক ছিল। অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হামলাকরীরা গোটা গ্রাম ঘিরে ধরে হামলা চালায়। শিশু, বৃদ্ধ কাউকে রেয়াত করেনি ওই বর্বর লোকগুলি। যাকে সামনে পেয়েছে তাকে গুলি করেছে।”
উল্লেখ্য, রওয়ান্ডার মতোই পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মালিও বহুদিন ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জর্জরিত। বিশেষ করে শিকারী ডোগান উপজাতি ও যাযাবর ফুলানিরা মাঝে মাঝেই লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ অনেক পুরনো। এবং তা অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী হয়। তবে ২০১২ সালে ইসলামিক স্টেটের উত্থানের ফের মালিতে বেড়েছে জেহাদিদের রমরমা। ফলে ডোগানদের নিশানা করছে সন্ত্রাসবাদীরা। ফুলানিরা ওই অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। তাদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে বলেও বহুদিনের অভিযোগ। চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই অঞ্চলেই ফুলানিদের উপর হামলা চালায় ডোগান শিকারিদের একটি দল। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় অন্তত ১৩০ জন নিরীহ মানুষকে। ২০১৬-র তুলনায় ২০১৯ সালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে কয়েক গুণ।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে চুমু না খাওয়ার ‘অপরাধ’, সমকামী মহিলাদের মার ৪ যুবকের]
The post ফের সাম্প্রদায়িক সংঘাতে রক্তাক্ত মালি, নিহত অন্তত ১০০ appeared first on Sangbad Pratidin.