সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের সভাপতি (Congress President) নির্বাচন নিয়ে নাটক অব্যাহত। এবার নাটকের নতুন অঙ্কে প্রবেশ করলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। শুক্রবার দুপুরে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ায় দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh) জমা দিলেন না। তিনিই ছিলেন প্রস্তাবক। বৃহস্পতিবার গেহলট সভাপতির দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর পর মনে করা হচ্ছিল দিগ্বিজয় সিং ও শশী থারুরের মধ্যেই লড়াইটা থাকবে। কিন্তু শুক্রবারই ফের পরিস্থিতি বদলে গেল।
এদিন সকালেই কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিংকে দেখা যায় দলের নেতা ও রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে যেতে। তখনই জানা যায়, এদিন দিগ্বিজয়ের মনোনয়ন জমা দেবেন। এবং খাড়গে সভাপতির দৌড়ে ঢুকে পড়লে সরে যাবেন দিগ্বিজয়। এই নিয়েই আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। অবশেষে সেই সম্ভাবনাই সত্য়ি হল। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মানতে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন খাড়গে।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াকে গুলি! আতঙ্ক দিল্লিতে]
বৃহস্পতিবার সভাপতি পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। রাজস্থান কংগ্রেসের বিদ্রোহের জন্য সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থী ছিলেন গেহলট। কিন্তু তাঁর অনুগামী বিধায়করা ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজস্থানে। শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে না চেয়ে কার্যত বিদ্রোহ শুরু করে দেন গেহলটপন্থী বিধায়করা। বৃহস্পতিবার সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন গেহলট।
এদিকে বৃহস্পতিবারই জি-২৩ নেতারা একটি বৈঠক করেন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে। শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা শশী থারুরের। এদিন সকালে তাঁকে রাজঘাটে পৌঁছতে দেখা যায়। তাঁর কথায়, ”যখন আপনি কোনও দৌড়ে নাম দেন, আপনি জানেন এতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু আপনাকে এই আত্মবিশ্বাসটা রাখতেই হয় যে, শেষ পর্যন্ত সব কিছু আপনার অনুকূলেই ঘটবে।” খাড়গের মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, যত বেশি প্রার্থী নির্বাচনে লড়বেন ততই ভাল। তিনি বর্ষীয়ান নেতাকে স্বাগত জানান।