সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাব, গুজরাট, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এমনকী কর্ণাটকেও সরাসরি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ছে আম আদমি পার্টি। একাধিক রাজ্যে আপ-কংগ্রেসের ভোট ভাগাভাগীর সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে বিজেপি। তা সত্ত্বেও আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) সিবিআই তলব করতেই তাঁর দিকে সৌজন্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কেজরিওয়ালকে ফোন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি।
এমনিতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে কোনও ফোরামে যান না কেজরিওয়াল। কিন্তু রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর বৃহত্তর বিরোধী স্বার্থে তিনিও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই বৃহত্তর বিরোধী স্বার্থেই শনিবার কেজরিওয়ালকে ফোন করলেন খাড়গে। সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালকে কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন ২০২৪ সালে বিজেপিকে (BJP) হারাতে হলে সংঘবদ্ধ হতে হবে। সিবিআই তলব নিয়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতাও দেখান তিনি।
[আরও পড়ুন: মারণ খেলার ফাঁদ! ষাঁড়ের গুঁতোয় পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে এল নাড়িভুড়ি, মৃত্যু যুবকের]
এদিকে, কেন্দ্রের আক্রমণের মোকাবিলায় পাল্টা প্রতি আক্রমণের কৌশল নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মোদি (Narendra Modi) সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাকে আক্রমণের পাশাপাশি সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন অধ্যক্ষ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে সিবিআই তলব নিয়ে আলোচনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। রবিবার সিবিআইয়ের (CBI) সদর দপ্তরে সিবিআইয়ের তরফে হাজিরা দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। শোনা যাচ্ছে, রবিবার যথাসময়ে হাজিরা দেবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাংলা-সহ ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায় হবে কেন্দ্রীয় পুলিশের পরীক্ষা, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]
কয়েকদিন আগেই জাতীয় দলের তকমা পেয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। এর ঠিক পরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আপ সুপ্রিমো বলেছিলেন, “আপ জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে। এবার সকলে জেলে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।” তারপরেই গোয়া পুলিশ ও সিবিআইয়ের তলব নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। প্রতিবাদে সোমবার দিল্লি বিধানসভায় ডাকা হল বিশেষ অধিবেশন। “পরিস্থিতি ভাল নয়। এটা নিয়ে অবশ্যই বিধানসভায় আলোচনা হওয়া উচিত। দিল্লি সরকারের নেতারা গোটা অবস্থা নিয়ে কথা বলবেন।” জানিয়েছেন আপ বিধায়ক তথা মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।