সন্দীপ চক্রবর্তী ও রাহুল চক্রবর্তী: ১৯ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে দূত পাঠাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সভায় উপস্থিত থাকার জন্য রাহুল এবং সোনিয়া দু’জনকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রদেশ নেতৃত্বের আপত্তি এবং স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কথা ভেবে মমতার ব্রিগেডে আসছেন না কংগ্রেস সভাপতি। তার পরিবর্তে নিজের দূত হিসেবে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রিগেড নিয়ে বৈঠক ছিল তৃণমূল নেতাদের। বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[বঙ্গসংস্কৃতিকে চেনাবে উনিশের ব্রিগেড, চাইছেন মমতা]
জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতায় সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব আঞ্চলিক দলকে একত্রিত করে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ায় মূল লক্ষ্য মমতার। সেই ফ্রন্টে কংগ্রেসের উপস্থিতি নিয়ে এখনও জল্পনা আছে। এদিকে দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও এরাজ্যের নেতাদের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক তৃণমূলনেত্রীর। কংগ্রেস নেতারাও কোনওভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান না। তিন রাজ্যের বিধানসভায় জয়ের পর ধর্মতলার জনসভা থেকে সরাসরি তৃণমূলকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছিলেন সোমেন মিত্র, অধীর চৌধুরি, গৌরব গগৈরা। মমতার ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে তাই দলের কোনও নেতার উপস্থিতিরও বিরোধিতা করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই আপত্তি ধোপে টিকল না। রাহুল নিজের দূত হিসেবে দলের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতাকে পাঠাচ্ছেন।
[“এমন পুরস্কার জিতলেন যার কোনও বিচারকই নেই”, মোদিকে কটাক্ষ রাহুলের]
স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস সভাপতির এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে প্রদেশ নেতারা। কংগ্রেসের দ্বিমুখী নীতি প্রকাশ্যে চলে আসছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র অবশ্য জাতীয় রাজনীতির দোহাই দিয়ে সাফাই গাইছেন। এ প্রসঙ্গে সোমেন বলেন, “জাতীয় রাজনীতির কারণে খাড়গেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, রাজ্য কংগ্রেসের তৃণমূল বিরোধিতা আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই থাকবে। ব্রিগেডের সভায় আমাদের যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” রাজ্যের নেতারা যে কোনওভাবেই তৃণমূলের সভায় কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতি চাইছেন না, তা এদিনও সোমেনের বক্তব্যে স্পষ্ট।