সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে সরব কংগ্রেস (Congress)। জাতিশুমারির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইউপিএ (UPA) সরকারের আমলের জাতি ভিত্তিক জনগণনা প্রকাশ্যে আনার দাবিতে সোচ্চার হন। তোপ দাগেন মোদিকে। বলেন, “সাহস থাকলে পাবলিক ডোমেনে জাতিসুমারি প্রকাশ করুন।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে চিঠি লিখলেন খাড়গে।
গত জানুয়ারি মাসে জাতি ভিত্তিক জনগণনার কাজে হাত দিয়েছে বিহার (Bihar)। যার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার (Nitish Kumar) বিজেপিকে (BJP) তোপ দেগে বলেছিলেন, “পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নতি চায় না বিজেপি।” আরও বলেন, “এই জনগণনা শুধুমাত্র সংখ্যা জানার জন্য নয়। রাজ্যে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা জানতেই এই সমীক্ষা করা হচ্ছে।” সেই অনুযায়ী তাঁদের উন্নয়নের কাজে হাত দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে দলিত তথা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নতিকল্পে জাতিসুমারি প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতিও।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি অভিষেকের]
নিজের চিঠিতে খাড়গে উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন জাতির উন্নতিকল্পে, তাঁদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি জানার জন্য জাতিসুমারি প্রয়োজন। সেই কারণেই ২০১১-১২ সালে জাতি ভিত্তিক জনগণনা করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্বের ইউপিএ সরকার।” ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস (Congress) সাংসদরা দাবি করেছিলেন, জাতিশুমারি প্রকাশ্যে আনতে হবে। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি বিজেপি।” খাড়গে চিঠিতে আরও লিখেছেন, “সরকারের কাছে আপডেটেড জাতিসুমারি নেই। এর ফল মারাত্মক হতে পারে। সামাজিক ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন মানুষ। দুর্বলের ক্ষমতায়ণের কাজ ব্যাহত হবে। জাতি ভিত্তিক জনগণনা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” এই প্রেক্ষিতে নিয়মিত জনগণনা তথা জাতিসুমারির দাবি জানয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকারি অনুষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমের বলি অন্তত ১১, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা একনাথ শিণ্ডের]
প্রসঙ্গত, রবিবার কর্ণাটকের (Karnataka) কোলারে এক জনসভা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে জাতিশুমারি প্রসঙ্গে মোদিকে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “অনুগ্রহ করে জাতিসুমারির তথ্য প্রকাশ আনুন। যাতে দেশ জানতে পারে বর্তমানে ওবিসি, দলিত এবং উপজাতিদের জনসংখ্যা কত। আপনি যদি এই কাজ না করেন, তবে তা ওবিসিদের জন্য অপমান। ”