সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণখেলাপি মামলায় তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে সিবিআই-ইডি। দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের পর সাফল্যও এসেছে। লন্ডনের আদালত মালিয়াকে ভারতে ফেরানোর অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ৯ হাজার কোটির ঋণখেলাপ করা লিকার ব্যারনের পাশে দাঁড়ালেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যে কেউ নন, মোদির মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা নীতীন গড়করি বললেন, মালিয়াদের মতো ব্যবসায়ীদের চোর বলা ঠিক নয়। একবার ঋণ শোধ না করলে কেউ চোর হয়ে যায় না।
[‘মোদি জুমলাবাজ, যোগীকে প্রধানমন্ত্রী করা হোক’, পোস্টার ঘিরে বিতর্ক লখনউতে]
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আয়োজিত বিতর্ক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। মালিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজকাল আমাদের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে সবাইকে চোর বলা। এমনটা হওয়া উচিত নয়। একবার ভুল করার অধিকার সবারই থাকে। কিন্তু তা শোধরানো উচিত। ৪০ বছর ধরে নিয়মিত ঋণ শোধ করেছেন মালিয়া। সুদও দিচ্ছিলেন নিয়মিত। একবার লোকসানে পড়ে ঋণ শোধ করতে পারলেন না আর অমনি চোর হয়ে গেলেন? যতদিন পর্যন্ত তিনি ঋণ শোধ করছিলেন ততদিন তিনি ঠিক ছিলেন। যেই শোধ করতে পারলেন না অমনি প্রতারক হয়ে গেলেন, চোর হয়ে গেলেন। এই মানসিকতাটাই ঠিক না।” গড়কড়ির দাবি বিমান ব্যবসায় গিয়ে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হন মালিয়া। আর সেকারণেই ঋণ শোধ করতে পারেননি। তিনি বলেন, “সব ব্যবসায় ঝুঁকি থাকে। বিমানসংস্থার ব্যবসায় মালিয়া সমস্যায় পড়েছিলেন। তাঁর ব্যবসার ক্ষতি হয়েছিল। সেকারণেই তিনি ঋণ শোধ করতে পারেননি। এভাবে একজন ব্যবসায়ীকে চোর বানিয়ে দিলে আমাদের অর্থনীতি এগোতে পারবে না।”
[চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস ইন্টারপোলের]
হঠাৎ শীর্ষস্থানের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেভাবে একজেন ঋণখেলাপির পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাতে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। এর আগে মালিয়া নিজেই দাবি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে আলোচনা করেই দেশ ছেড়েছেন তিনি। সংসদে জেটলি-মালিয়া বৈঠক হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেসও। তারপর মালিয়ার প্রত্যাবর্তণের আগে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তাঁর হয়ে গলা ফাটানো অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই দাবি বিরোধীদের।