মালয়েশিয়া-৪ ভারত-২
(ডিওনজোহান, আরিফ,ফয়জল, করবিন ) (মহেশ, সুনীল)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যায্য গোল দেওয়া হল না ভারতকে। প্রযুক্তি নেই বলে দেখাও হল না ছাংতের শট গোললাইন অতিক্রম করেছে কিনা। খালি চোখেই স্পষ্ট বল মালেয়শিয়ার গোললাইন অতিক্রম করেছিল। ছাংতের শট মালয়েশিয়ার আহমেদের পায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রমও করে। কিন্তু রেফারি অন্যকিছু ভেবে রেখেছিলেন। গোল দিলেন না তিনি।
সুনীল ছেত্রী বারংবার আবেদন করলেন রেফারিকে। গোল না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত কোচ ইগর স্টিমাচও। গোটা ভারতীয় দল গোলের জন্য আবেদন করল। কিন্তু রেফারি কর্ণপাত করলেন না। গোলটি সেই সময়ে দেওয়া হলে ভারত ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনত। কারণ ভারত তখন পিছিয়ে ছিল ৩-২ গোলে। গোলটি হয়ে গেলে ভারত ৩-৩ গোলে সমতা ফিরিয়ে আনতেই পারত। কিন্তু ভারতের থেকে গোল চুরি করে নেওয়ায় ভুগতে হল স্টিমাচের দলকে। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ভারত ২-৪ গোলে হার মানল।
[আরও পড়ুন: নতুন ইতিহাস গড়তে মরিয়া পাকিস্তান, রেকর্ড ভাঙার হুঙ্কার দিলেন বাবর]
ভারতের কাছ থেকে গোল চুরির চার মিনিটের মধ্যেই মালয়েশিয়া ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে। ম্যাচের স্কোর হয়ে যায় ৪-২। এর পরেও ছাংতের জোরালো শট মালয়েশিয়ার পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। সেই যাত্রায় অবশ্য বল গোললাইনেই ড্রপ করে। তার পরেও সাহাল গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ন্যায্য গোল না দেওয়ার পরেও ভারত অবশ্য একাধিকবার মালয়েশিয়ার পেনাল্টি বক্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। সেই সব আক্রমণ থেকে গোল হতেও পারত। কিন্তু চা পানের সময় ঠোঁট ও পেয়ালার মধ্যে যে দূরত্ব থেকে যায়, এক্ষেত্রেও তাই হল।
প্যালেস্তাইন শেষ মুহূর্তে মারডেকা কাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ায় টুর্নামেন্ট হয়ে যায় তিন দলের। শুক্রবার মালয়েশিয়াকে হারাতে পারলে ফাইনালে তাজিকিস্তানের মুখোমুখি হতে পারত সুনীল ছেত্রীর ভারত। কিন্তু ব্লু টাইগাররা ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ফাইনালে এখন মালয়েশিয়ার সামনে তাজিকিস্তান।
মালয়েশিয়া ম্যাচটা জিতল ৪-২ গোলে। স্কোরলাইন সবসময়ে ম্যাচের আসল ছবি তুলে ধরে না। বিরতির সময়ে ভারত ৩-১ গোলে পিছিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সুনীল ছেত্রীর গোলে ভারত ৩-২ করেও ফেলে। তার পরেই ভারতের গোল কেড়ে নেওয়া হয়।
মালয়েশিয়া এদিন প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। খেলার বয়স তখন সাত মিনিট। ডিওনডোহান ভলি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন মালয়েশিয়াকে। এর সাত মিনিট পরেই ভারত সমতা ফেরায়। দুরন্ত গোলটি করেন নাওরেম মহেশ। ডান প্রান্ত থেকে ভাসানো বল সাহালের পা ঘুরে এসে পৌঁছয় মহেশের কাছে। নিখুঁত শটে মহেশ গোল করেন।
২০ মিনিটে ভারত আবার পিছিয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আরিফ আইম্যান গোল করে ২-১ করেন। ৩০ মিনিটে আরিফ গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৪২ মিনিটে ফয়জল ৩-১ করে যান। মেহতাবের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন আরিফ। তাঁর কাছ থেকে ফাঁকায় বল পান ফয়জল। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের পরেই ব্যবধান কমায় ভারত। সুনীল ছেত্রী ৩-২ করার পরেই গোল নিয়ে সেই নাটক। কিছুক্ষণের মধ্যেই মালয়েশিয়ার হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন করবিন। এরপরে একাধিক আক্রমণ তুলে আনলেও গোলসংখ্যা আর বাড়েনি ভারতের। হার মানে ভারত।