সুমন করাতি, হুগলি: ‘ইন্ডিয়া জোটে’র সমর্থনে ব্যানার পড়ল হুগলির বিভিন্ন জায়গায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তীর ছবি দেওয়া এই ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘ইনক্লাব জয় বাংলা’। বিজেপিকে হঠাতে সকলকে ইন্ডিয়া জোটে সামিল হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে কারা এই ব্যানার টাঙিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই।
মনে করা হচ্ছে, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস নেতৃত্বের ছবি দেওয়া এই ব্যানার টাঙানো হয়। শনিবার সকালে ঘুম ভাঙতে সবার চোখে পরে ব্যানারগুলি। হুগলির চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, সিঙ্গুর, পোলবা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ধরনের ব্যানার টাঙানো হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের সম্পর্কে সকলে ওয়াকিবহাল হলেও সাতসকালে এই ব্যানার দেখে গুঞ্জন শুরু হয়। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “সিপিএম ভোট করে তৃণমূলকে জিতিয়ে দিয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এই জয় ইন্ডিয়া জোটের।”
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বার গর্ভে না কি সন্তানই নেই! শিশু চুরির অভিযোগে আজব সাফাই বারাসত হাসপাতালের]
ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম, কংগ্রেস যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ছিল, দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি। এসব মানুষ বোঝে। দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনে ছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডির তলবে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। তৃণমূল সেই বৈঠকে কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি। সিপিএমেরও কেউ ছিলেন না। সেই বৈঠকে অভিষেকের চেয়ার ফাঁকা রেখে বিজেপিকে বার্তা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে।
বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস জোট আছে। তবে তারা তৃণমূল বিরোধী। বিভিন্ন ইস্যুতে অধীর চৌধুরী মহম্মদ সেলিমদের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। তবে দিল্লি থেকে বিজেপিকে হঠাতে বিরোধী দলগুলো এক ছাতার তলায় এসেছে ইন্ডিয়া নাম নিয়ে। বাংলায় তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে চায় সিপিএম-কংগ্রেস। সেখানে দুই বিরোধী শিবিরের নেতাদের ছবি দিয়ে ব্যানার ছাপিয়ে কে কী বার্তা দিতে চাইছে বা এটা নিছকই বিতর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে করা কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।