ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ৪ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি কেন? বিধানসভায় কারণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “এটা মানুষের নয়, কংগ্রেসের পরাজয়।” ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাাগি না হওয়ার সুবিধা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে সকলে জোট বেঁধে লড়াই করলে, আসন ভাগাভাগি হলে বিজেপি লোকসভায় জিততে পারবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী মমতা।
রবি ও সোমবার পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ্যে এসেছে। তার মধ্যে তিন রাজ্যেই ধরাশায়ী হয়েছে হাতশিবির। কেন এই ভরাডুবি, কারণ জানালেন মমতা। তাঁর কথায়, “ভুল পলিসির জন্য হেরেছে। একটা পার্টি ছটা আসন চেয়েছে। তাদের অন্তত তিনটে আসন দিতে পারে দিতে পারতো তাহলে অন্তত এই সমস্যা হতো না। আসন ভাগাভাগি না হওয়ার জন্য অন্তত ৭০টা আসনে জিতেছে বিজেপি।” হারের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও জানিয়েছেন, “একটা নির্বাচনে জিতে অনেকে বড় বড় কথা বলছে। আমি একটু রেজাল্টটা দেখছিলাম। নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছি ৩৯ শতাংশ এবং ওরা পেয়েছে ৪২ শতাংশ। এরমধ্যে ১২ শতাংশ ভোট কেটেছে কংগ্রেস জোটের শরিকরা।”
[আরও পড়ুন: কোর্ট বৈঠকে মেলেনি সবুজ সংকেত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে জটিলতা]
নাম না করে কংগ্রেসের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর খোঁচা, “শুধু ক্যাম্পেইন করলে হয় না। বিজ্ঞাপন দিলে হয় না। আদর্শের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি দরকার। তার জন্য ফিল্ডে কাজ করতে হবে।” তাহলে কি লোকসভা ভোটেও ছুটবে বিজেপির জয়রথ? সে কথা মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “উদাহরণ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমি এখনও মনে করি সিট শেয়ার করলে বিজেপি জিতবে না। ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে কাজ করবে।”
বিজেপির জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানালেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি মমতা। তাঁর দাবি, “কেউ জিতেছে আমার শুভেচ্ছা থাকবে। কিন্তু গণতন্ত্র দূষিত হল। এটা ইলেকশন কোথায় হল? এটা তো এজেন্সি পলিউশন। সব এজেন্সি ওদের হয়ে কাজ করে।” তাঁর আরও দাবি, “বিজেপির এই জয় আসলে ভোট কাটাকাটির জয়। এর মানে এই নয় যে দারুন ফাটাফাটি রেজাল্ট হয়েছে। কিছু ছোট-ছোট পাটির ভুল পলিসির জন্য এটা হয়েছে।”