সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান আরও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭০ হাজার থেকে অনুদান একলাফে বেড়ে হল ৮৫ হাজার টাকা। আগামী বছর এই অনুদান বেড়ে হতে পারে ১ লক্ষ টাকা। এদিন তেমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা। শুধু অনুদান বৃদ্ধি নয়, বাড়ল বিদ্যুতের ছাড়ও।
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুজো নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন। ঘোষণা করলেন অনুদান বৃদ্ধির কথা। পুজোকর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন. "গতবার কত পেয়েছিলেন?" উত্তর দেওয়ার পর তিনি মজার ছলে বলেন, "এবার তাহলে কমিয়ে ৬০ হাজার করে দি!" পালটা পুজোকর্তারা বলে ওঠেন, ১ লক্ষ টাকা অনুদানের কথা। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একলাফে এক লক্ষ হয় না। একটা স্ল্যাব আছে তো। এবার ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছি।" একইসঙ্গে পরের বছর অনুদান ১ লক্ষ টাকা করার ইঙ্গিত দেন। শুধু অনুদান বৃদ্ধি নয়। পুজোয় বিদ্যুতের বিলে ছাড় বেড়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য সরকারি অনুমতিও মিলবে বিনামূল্যে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার পুজোর কার্নিভাল ১৫ অক্টোবর। বিসর্জন শুরু হবে দশমী থেকেই। ১৩ ও ১৪ তারিখ বিসর্জন চলবে।
[আরও পড়ুন: বাজেটে বেতনভুক কর্মীদের আয়কর স্বস্তি, নতুন কর কাঠামোয় বদল]
পুজোকর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, পুজোকর্তাদের পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভলান্টিয়ার মোতায়েন করতে হবে। ঢোকা-বেরনোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাখতে হবে উপযুক্ত মেডিক্যাল ব্যবস্থা। পুজোর ভিড়ের জন্য রাস্তায় যানজট সহ্য করা হবে না, শ্রীভূমির নাম করে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের পাশাপাশি জেলার পুজোতেও কড়া নজরদারি চলবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম বছর ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে। তার পর করোনার পরে এক ধাক্কায় অনুদানের অঙ্ক দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১০ হাজার টাকা করে বাড়ে অনুদান। গত বছর ক্লাবগুলি ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান পায়। সেই সঙ্গে মেলে বিদ্যুৎ বিলে ৬৬.৬৬ শতাংশ ছাড়।
[আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে দলে দলে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা, কী পড়তে যান তাঁরা?]