shono
Advertisement

স্পিকারকে ‘অপমান’বিরোধী দলনেতার! মুখ্যমন্ত্রী নিজে ক্ষমা চাওয়ায় সাসপেন্ড হয়েও রক্ষা শুভেন্দুর

১৬ তারিখ বিজেপি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবে।
Posted: 02:33 PM Feb 13, 2023Updated: 04:10 PM Feb 13, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিধানসভা অধিবেশনে ফের বিশৃঙ্খলা। সোমবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার। সেখানে বিরোধী দলনেতা বলতে উঠে রাজ্যপালের ভাষণে যেসব ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে, তা নিয়ে বলতে শুরু করেন। তাঁকে রাজ্য সরকার ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপালের ভাষণের কপিও তিনি ছিঁড়ে ফেলেন, ছুঁড়ে দেন স্পিকারের চেয়ারের দিকে। তাতে অপমানিত বোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের (Motion of Priviledge) নোটিস আনার প্রস্তাব দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে ক্ষমা চেয়ে নেন। তাতে প্রসন্ন স্পিকার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সাসপেনশন প্রত্যাহার করেন। এবং উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে শেখা উচিৎ।

Advertisement

সোমবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন তহবিল নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে। নির্দিষ্ট কোনও তহবিলের টাকা অন্যান্য খাতে খরচ করা এবং আইএএস, আইপিএস-দের ঘর ভাড়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ না থাকার কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। এমনকী রাজ্যপালের ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। এসব দেখেশুনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) জানান, এই অভিযোগ গৃহীত হবে না। তারপরই তিনি এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান। তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় অধিবেশন কক্ষে।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া হাই কোর্ট, চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় CBI তদন্তের নির্দেশ মান্থার]

বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী ও আমলাদের বিরুদ্ধে তাঁকে বলতে বাধা কেন দেওয়া হল, কেন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের এই সংক্রান্ত বিষয়টি বাদ দিতে বলা হল? এসব প্রশ্ন তোলেন ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। তিনি জানান, স্পিকারের বিরুদ্ধে ১৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ম মেনে অনাস্থা আনবে বিজেপি (BJP)। 

[আরও পড়ুন: এ কেমন সাজ! সিদ্ধার্থ-কিয়ারার রিসেপশনে দিশার পোশাক দেখে তীব্র কটাক্ষ নেটিজেনদের]

তবে অধিবেশনে বিজেপির বিশৃঙ্খলা সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে বিজেপির দুর্ব্যবহার, বিশৃঙ্খলার জন্য সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের তরফে স্পিকারের কাছে  ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ”বিরোধী দলনেতা একটা লজ্জা জনক ব্যাক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওঁদের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি।” তাতেই রেহাই মেলে শুভেন্দুর। সাসপেনশন প্রত্য়াহার করে নেন স্পিকার। মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ  শিক্ষণীয় বলে মন্তব্য করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement