সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Election)। ২৭ মার্চ থেকে প্রথম দফা ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হচ্ছে জঙ্গলমহলের চার জেলা দিয়ে। তার আগে বৃহস্পতিবার শেষ প্রচার। আর তাতেই ঝড় তুলতে মরিয়া সব রাজনৈতিক দল। তৃণমূলের তরফে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে চার জায়গায় জনসভা করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে তৃতীয় জনসভা তাঁর। আর সেখান থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন তিনি। বুধবারই কমিশনের নির্দেশে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে। এই প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখ না করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ”অফিসার বদল করছেন এখন। বিজেপির কথা শুনে আপনারা পদক্ষেপ করছেন। শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনারা বিমাতৃতসুলভ আচরণ করছেন। তবে জেনে রাখুন, যাঁদের বদলি করছেন, আর নতুন যাঁরা আসছেন, সবাই আমাদের লোক। এটা আপনারা জানেন না।”
নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে দেখভালের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সেইমতো কমিশনের নির্দেশে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। এ সব স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নিলেও, সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ-সহ সম্প্রতি কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বদলি নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়েও জোর চর্চা চলেছে। আর দাঁতনের জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো সম্ভবত সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন। বললেন, ”নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপি কমিশন হয়ে গিয়েছে। বিজেপির কথা শুনে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর জন্য আমাকে শোকজ করুন, ১০টা চিঠি পাঠান, আমার কিছু যায় আসে না। আমি লড়াই করবই। বিজেপি এখন জনগণের খেলায় হেরে গিয়েছে। তাই অফিসার বদলের খেলা খেলছে। তবে যাঁদের বদলি করছেন, তাঁরা সবাই আরও বেশি করে আমাদের লোক। আর যাঁরা নতুন আসছেন, তাঁদের নিয়েও আমি খুশি, তাঁরাও আমাদের লোক।” এরপর আরও শ্লেষের সুরে তিনি বলেন, ”অফিসার বদলি যতই করো/মাইনে তোমার ৪১২”।
[আরও পড়ুন: ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে’, মোদি-শাহকে কটাক্ষ মমতার]
বহিরাগতদের দ্বারা ভোট লুট হতে পারে, এই আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তা নিয়েই আরও সতর্ক করলেন। দাঁতনের জনসভা থেকে তাঁর বক্তব্য, ”বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, বেড়াতে আসুক, ব্যবসা করতে আসুক, সব ক্ষেত্রে স্বাগত। কিন্তু ভোট লুট করতে এলে, ঢুকতে দেবেন না। সোজা বের করে দেবেন। ৫০০, ১০০০ টাকা দিয়ে ভোট দিতে বললে, টাকাটা খরচ করে দেবেন। আর বলবেন, এবার তোমাকেও খরচ করব। বলে ভোটবাক্সে ওদের আর ভোট দেবেন না। খরচও হল, সব শূন্য হয়ে যাবে। ”