গৌতম ব্রহ্ম: অ্যাডেনো ভাইরাসের আতঙ্ক রাজ্যজুড়ে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ২৫ জনেরও বেশি শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তাই মঙ্গলবার নবান্নে জরুরী বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে আজই এ নিয়ে নয়া গাইডলাইন জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, করোনা সতর্কীকরণের মতোই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের। আগামী ৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর সতর্কীকরণের কথা ভাববে সরকার। এরই মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি সতর্কতা অবলম্বন করতে কি বিদ্যালয়গুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হবে? বৈঠকের পর যদিও জানা যাচ্ছে, এখনই শিশুদের স্কুল বন্ধের কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ব্রাত্য-রাজ্যপাল বৈঠকে কাটল জট, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের মেয়াদ বাড়ছে]
অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) দাপটের জেরে তাহলে কী কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে? নবান্ন সূত্রে খবর, প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় ঘোরা ফেরা, বিনোদন পার্কে ভিড় জমানো, সিনেমা হল ও শপিং মলে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতার কথা বলা হতে পারে। কিন্তু মুখে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ আগেই দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে হাসপাতালগুলির কাছে একটি গাইডলাইন পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে যে সব বাচ্চা হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে, তাদের একবার করোনা RT-PCR টেস্ট করতে হবে। আক্রান্ত শিশু ও পরিবারকে মেনে চলতে হবে কোভিডবিধি। এদিন সেই গাইডলাইনে আরও কিছু বদল ঘটানো হবে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশকে সংবিধান শেখাতে এসেছি’, নিশীথের কনভয়ে হামলার ৩দিনের মাথায় কোচবিহারে সুকান্ত]
অ্যাডিনোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিষয়টা উদ্বেগের। মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। সরকারও দেখছে। তবে এর সঙ্গে পরিকাঠামো ভাঙার কোনও প্রশ্ন নেই। নতুন রোগ এলে বুঝতে সময় লাগে। বিজেপি যেমন বুঝতে পারেনি একুশে দিল্লি থেকে হেভিওয়েট আনলেও লাভ হবে না, তেমনই। আর এর চিকিৎসাযর জন্য যা যা করার, সবই করা হচ্ছে।”