অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বরাবরই আমজনতার মাঝে মিশে থাকতেই পছন্দ করেন। তাই সুযোগ পেলেই চলে যান মানুষের কাছে। বুধবারও তার অন্যথা হল না। দার্জিলিং সফরের তৃতীয়দিনে বাজার ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কথা বললেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। খুদেদের আদর করে তাদের চকোলেট উপহারও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার সকালে পাহাড়ি রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণ সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। খানিকটা বেলা হতেই দার্জিলিংয়ের একটি সবজি বাজারে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। রীতিমতো সবজির দরদামও করেন। একটি দোকানের লাল লঙ্কা দেখে রসিকতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীদের বলেন, “এই লঙ্কা এক কেজি খেতে পারলেই পুরস্কার দেব।” একটি দোকান থেকে লঙ্কার আচার কেনার কথাও বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দার্জিলিং সফরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, এক মঞ্চে দেখা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে]
এদিন রাস্তায় খুদেদের আদর করতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাদের হাতে প্রচুর চকোলেট তুলে দেন তিনি। এক শিশুকে কোলে নিয়ে ছবিও তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত পাহাড়বাসী। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই রূপ কিন্তু একেবারেই নতুন নয়। বহুবার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এভাবেই মানুষের ভিড়ে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। দার্জিলিংয়ে শিশুদের হতে চকোলেট তুলে দিয়ে মমতা বলেন, ”আজ গুরু পূর্ণিমা। আমার কাছে আজই শিশু দিবস।” দিনটা শিশুদের উৎসর্গ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকালই পাহাড়ের একটি ফুচকার দোকানে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার দোকানের উদ্বোধন ছিল। গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে দোকানের ফিতে কাটেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ফুচকা বানাতে উদ্যোগী হন। ফুচকার আলু নিজে বানিয়ে বাচ্চাদের ফুচকা খাওয়ান তিনি। নিজেও খান। সেখানে উপস্থিত এক বাংলাদেশি পর্যটকও মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ফুচকা খান। মমতা ফের বুঝিয়ে দেন, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে।