ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আজ, শুক্রবারই বিধানয়সভায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যিনি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।
বিধানসভা নির্বাচনে নিজের ‘গড়’ রাসবিহারী ছেড়ে এবার ভবানীপুরে দাঁড়িয়েছিলেন শোভনদেব। তাঁর বিপক্ষে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানেই বিপুল ভোটে জিতে বিধায়ক হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নয়া মন্ত্রিসভাতেও রাখা হয় শোভনদেবকে। এবার কৃষিমন্ত্রী করা হয় তাঁকে। তবে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে, প্রাণহানি এক চিকিৎসকেরও]
এবিষয়ে শোভনদেব নিজে জানিয়েছেন, তিনি চান এই কেন্দ্র থেকেই বিধায়ক হওয়ার জন্য প্রার্থী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আপাতত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আছেন উনি। আমার ইচ্ছা এখান থেকেই লড়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আর এরপর দল আমার জন্য যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো মাথা পেতে নেব। তবে বাংলাতেই থাকতে চাই।” এদিন বেলা দু’টোয় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র দেন শোভনদেব।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে (Bengal Polls 2021) নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে হঠাৎই তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করেছিলেন তিনি নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন। ফলে নিজের ‘গড়’ ভবানীপুর কেন্দ্রটি জয়ের ক্ষেত্রে আস্থা রেখেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শোভনদেবের (Sovandeb Chattopadhyay) উপরই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাশ করেননি প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। হাসতে হাসতেই আসন দখল করে নেন। গত ৬ মে বিধায়ক হিসেবে শপথগ্রহণও করেন। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন দায়িত্ব আসে তাঁর কাঁধে। কিন্তু এবার তিনি পদত্যাগ করায় নতুন করে জল্পনা শুরু হল। শোনা যাচ্ছে, এই আসন থেকেই লড়বেন মমতা। কারণ সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে জয়ী হতে হয়। নন্দীগ্রামে জিতে শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক হওয়ায় তাই ফের লড়তে হবে মমতাকে। আর ভবানীপুরকে হাতের তালুর মতোই চেনেন তিনি। সেই কারণেই এই কেন্দ্রকেই বেছে নিতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।