গৌতম ব্রহ্ম: সুপ্রাচীন ঐতিহ্য থাকলেও কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পায়নি গঙ্গাসাগর মেলা। তা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সোমবার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দাঁড়িয়ে আরও একবার সেই আক্ষেপের কথা বললেন মমতা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করেছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গাসাগর সবচেয়ে বড় মেলা। আগে সকলে বলতেন, ‘সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।’ কিন্তু এখন তাঁরা বলেন, ‘সব সাগর একবার, গঙ্গাসাগর বারবার।” কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই সাগরের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু তার পরেও গঙ্গাসাগরে পৌঁছনো বেশ কঠিন। কারণ দেশের অন্যান্য প্রান্তের ধর্মীয় ও ঐতিহ্যপূর্ণ মেলাগুলিতে পৌঁছনোর জন্য সড়কপথ, রেলপথ রয়েছে। কিন্তু গঙ্গাসাগরে যাওয়ার উপায় শুধুমাত্র জলপথ। ভেসেল বা নৌকায় চড়েই গঙ্গাসাগর যেতে হয়। ফলে যাত্রাপথ বেশ কঠিন। তার পরেও প্রতি বছর ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ মানুষ মেলায় আসেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও কেন গঙ্গাসাগরের মেলাকে কেন্দ্র স্বীকৃতি দিল না, তা নিয়ে তাঁর আক্ষেপ ব্যক্ত করেন এদিন।
[আরও পডুন: স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কারা সুবিধা পাবেন?]
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কুম্ভমেলার মতো একাধিক মেলা কেন্দ্রের সাহায্য পায়। প্রচুর টাকা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু এই মেলার জন্য় সব খরচ করে রাজ্য সরকার ও সাধারণ মানুষ। আর কিছু ধর্মীয় সংগঠন দান করেন। কেন্দ্রের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলে না। এবারের মেলায় পর্যটক বা পুন্যার্থীদের টানতে শুধুমাত্র আলোকসজ্জায় ৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাংলার পর্যটন ক্ষেত্রগুলি উন্নয়ন করতে রাজ্য় সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানের কেন্দ্রের সহায়তা থাকলে আরও ভালো হতো বলেই মনেই করছেন মুখ্যমন্ত্রী।