সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফান (Amphan) ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিস্তর জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই সেই কাজ আর এক মুহূর্তও ফেলে রাখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী তিন দিনের মধ্যে আমফানের ক্ষতিপূরণ প্রদান যেখানে যা বাকি আছে, সবটা দিয়ে দিতে হবে। খুব বেশি হলে এর জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দিলেন তিনি।
করোনা কালেও থেমে নেই মুখ্যমন্ত্রীর রুটিন প্রশাসনিক বৈঠক। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নবান্ন থেকেই ভারচুয়াল বৈঠক করছেন তিনি। মঙ্গলবার দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম – এই ৫ জেলার কাজের খতিয়ান নিতে নবান্নে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সময়সীমা কঠোরভাবে বেঁধে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ ৩, ৪ দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলুন। আর ফেলে রাখবেন না।” তাঁকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, ”ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরির কাজ কোনও কোনও জেলায় ১ থেকে ২ শতাংশ বাকি আছে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের সুরে বলেন, যেটুকু কাজ বাকি, তা দ্রুত শেষ করতে হবে, ৭ দিনের মধ্যেই যেন তা সমাপ্ত হয়।
[আরও পড়ুন: হয় চাকরি ছাড়তে হবে, নয়তো পাড়া! খাস কলকাতায় করোনাজয়ী নার্সকে হুমকি প্রতিবেশীদের]
মে মাসের ২০ তারিখ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানে প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরে মতো উপকূলবর্তী এলাকা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিরও ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেসব সামলে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হতেই প্রায় সব জায়গায় শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে থাকে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হচ্ছে সরকারি প্রাপ্য থেকে। এসব রুখতে নিজেই আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতির অভিযোগে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ ওঠামাত্রই দলের যে কোনও স্তরের নেতাকে শোকজ করেন, প্রয়োজনে বহিষ্কারও করেন। এরপর ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নতুন করে তৈরি করার নির্দেশ দেন। সেই পর্ব মিটিয়ে এবার দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কাজও শেষ করে ফেলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আজ নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া নির্দেশের সুরেই সেকথা তিনি জানালেন।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসা মিলবে, কিন্তু পড়শি রাজ্যের কোভিড কেস বাংলায় কাউন্ট হবে না: মুখ্যমন্ত্রী]
The post ‘আমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শেষ করুন ৭ দিনের মধ্যে’, প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া নির্দেশ মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.