সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, ‘একলা চলো’ বার্তা স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার বর্ধমান যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ বিষয়ে একহাত নিলেন কংগ্রেসকে (Congress)। আজই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা কোচবিহার হয়ে ঢুকবে বাংলায়। অথচ কংগ্রেসের তরফে তা জানানোই হয়নি তৃণমূলকে (TMC)! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নেত্রী। তাঁর কথায়, ”একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এই যে রাহুলের যাত্রা বাংলায় আসছে, INDIA জোটের সঙ্গী হিসেবে আমাদের জানায়নি। জোট কারও একার নয়। আঞ্চলিক দলগুলো সব একসঙ্গে থাকব।”
বুধবার বর্ধমানে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আজই বাংলায় ঢুকবে, কোচবিহার হয়ে। এই যাত্রা নিয়ে উত্তরবঙ্গে তিনি থাকবেন ৫ দিন। ন্যায় যাত্রায় পা মেলাতে তৃণমূলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কংগ্রেসের তরফে রাহুলের যাত্রার কথা জানানোই হয়নি। জোট কারও একার নয় বলেও এদিন তোপ দাগলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অশুচি মিলনে বাড়ছে জরায়ুমুখের ক্যানসার? কীভাবে হবে রক্ষা? জানালেন বিশেষজ্ঞ]
আসলে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটবদ্ধ লড়াই নিয়ে জট পেকেছে আগেই। মূলত আসন সমঝোতায় জটিলতা। উনিশের জেতা দুটি আসনই কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু অধীর চৌধুরীদের দাবি আরও বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফর্মুলা, যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, সেখানে তাঁকেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়া হোক। এই ফর্মুলায় বাংলায় তৃণমূলেরই বেশি আসনে লড়ার কথা। ফলে রাহুল গান্ধীরা তৃণমূল নেত্রীকে কাছে টানার চেষ্টা করলেও উভয়ের জোট কিছুতেই পূর্ণতা পাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে আরও বেশি অস্থি অস্ত্রোপচারের লক্ষ্য, স্বাস্থ্যসাথীর নিয়মে বদল আনছে স্বাস্থ্য দপ্তর]
আর পূর্ণতা যে পাচ্ছে না, তা বুধবার একেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জানালেন, ”আমার প্রস্তাব আগেই ওরা খারিজ করেছে। তখন থেকে বাংলায় একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নি। জোট কারও একার নয়। আমরা আঞ্চলিক দলগুলো একসঙ্গে আছি। সেখানে কোনও হস্তক্ষেপ করতে এলে আমরা বুঝে নেব।”