ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শারদীয়ার মঞ্চেও রাজনীতির ছোঁয়া। রবিবার নজরুল মঞ্চ থেকে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর মন্তব্য, ”আমাদের গাল দিলে কিছু যায় আসে না। যারা এগুলো করছেন, বেশি করে করুন আর শান্তিতে ঘুমোন। আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নই। আর আপনারা যত বেশি তরজা করবেন, আমরা উন্নয়ন তত বেশি করব।”
এবছর বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)। সেই উপলক্ষে একমাস আগে থেকেই এবার উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এখনও তো প্রস্তুতিও শেষ। কলকাতার অনেক পুজোমণ্ডপই খুলে গিয়েছে আমজনতার জন্য। উৎসবমুখর বঙ্গে তাই পুজোর গান ও দলীয় মুখপত্রের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের জন্য মহালয়ার দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। এদিন নজরুল মঞ্চে ‘বাংলার গান, উৎসবের গান’ নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সেইসঙ্গে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যারও উদ্বোধন করেছেন নেত্রী।
[আরও পড়ুন: রেহাই নেই ছেলেদেরও, রাজধানীতে গণধর্ষণের শিকার ১২ বছরের নাবালক]
সেই অনুষ্ঠান মঞ্চেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ”ইদানিং লক্ষ্য করছি, নিজস্ব মতামত যদি দিই তা নিয়েও বিকৃত করা হচ্ছে। ‘চায়ে পে চর্চা’ হোনে সে বাত নেহি হোতা! যদি বলা হয়, নিজের পায়ে দাঁড়াও, যেমন ‘কাঁচা বাদাম পাকা বাদামে’র মতো কত গান গেয়েছেন, শোনেননি? মানুষ সমর্থন না করলে এগুলো এত জনপ্রিয় হল কী করে? ‘পাপ্পু দ্য গ্রেট’রা যখন যা মনে হচ্ছে, তাই বলে। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারার মতো এজেন্সি তাদের মাথাতেও বসে আছে। কেউ ধোয়া তুলসীপাতা নয়। ওদের জন্য তোলা থাকল আমার ‘টাক ডুমা ডুম ডুম’ গানটি।” তাঁর আরও মন্তব্য, ”এ মাটির কারও নামে বদনাম করলে আমার রাগ হয়। বাংলার নামে বদনাম করলে রাগ হয়। বদলা নয়, বদল চাই বলেছিলাম বলেই কাউকে অ্যারেস্ট করিনি ৩৪ বছরের।”
[আরও পড়ুন: ফেসবুক ভিডিওর জন্য বিষধর সাপ ধরে কেরামতি, ছোবল খেয়ে মৃত্যু ‘সাধু’র]
দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা নিয়েও এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”মার্চে জার্মানিতে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যারা এসব নিয়ে তরজা করছেন, করুন। আমরা উন্নয়ন করি। সেটাই আমাদের কাজ। যত তরজা করবেন, তত আমাদের উন্নয়নের কাজ এগোবে।”