সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশে বাংলা দখলে সবরকমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। দিল্লি থেকে গুজরাট, বহু রাজ্যের নেতাদের নামিয়ে দিয়েছেন ভোটের প্রচারে। বঙ্গবাসীর মন পেতে বাংলা ভাষা শিখছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi)। রবিবারের ‘মন কী বাত’-এ ঋষি অরবিন্দের দর্শন এবং বিস্মৃতপ্রায় কবি মনোমোহন বসুর কবিতার পংক্তি উল্লেখ করে তা বেশ স্পষ্ট করেছেন তিনি। তবে মোদির এই বাংলাপ্রীতির নেপথ্যে ভোট রাজনীতিই দেখছেন কেউ কেউ।
ব্যতিক্রমী নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় ভাষণ দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এতটুকুও কৃতিত্ব দিতে নারাজ। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ”টেলিপ্রম্পটারের (TP) দৌলতে এখন এ সবই সম্ভব। গুজরাটি হরফে বাংলা লিখে উচ্চারণ করা কোনও ব্যাপারই নয়।” তাঁর আরও শ্লেষ, “বাংলা বললেই বাঙালি হয় না। আমিও গুজরাটি ভাষা বাংলা হরফে লিখে বাংলা বলতে পারি। টেলিপ্রম্পটারে সম্ভব সব। তাই কেউ বাংলা বললেই তা নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
মঙ্গলবারও স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হন বিজেপি নেতারা, তার জবাবে মমতার সাফ কথা – দুর্নীতি তো দূরঅস্ত, সরকারের টাকায় চা-ও খান না তিনি। এও জানালেন যে তাঁর লেখা বই বিক্রির টাকাই আয়ের উৎস। নির্বাচনী লড়াইয়ের সুর চড়িয়ে ফের বলেন, ”বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি বাংলার মানুষ ছাড়বে না।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথমবার আদিবাসী মহিলার অঙ্গদান, একের অঙ্গে প্রাণ ফিরে পেল তিন]
এদিন একইসঙ্গে সিপিএমকেও বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আক্রমণ, ”সিপিএম বিজেপির সর্দার। পরিকল্পনা করে তৃণমূলের বদনাম করা হচ্ছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই।” কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই তিনি বলেছিলেন, ডাক পেলে তিনি দিল্লি যেতে প্রস্তুত। আর আজ কেন্দ্রের নয়া কৃষিনীতি নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, ”অটলজি থাকলে এই আইন সমর্থন করতেন না।” অর্থাৎ আবারও বুঝিয়ে দিলেন, ভিন্নতর রাজনৈতিক আদর্শ থাকলেও অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো রাষ্ট্রনেতা সকলের কাছে সম্মানীয়। তাই তাঁর আদর্শ মেনে চলা উচিৎ আজকের বিজেপি নেতৃত্বের।