নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ২০২২-এর আগস্ট থেকে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে অবশেষে সোমবার জেলমুক্তি হতে চলেছে তাঁর। তার পরই আবার 'নিজের গড়ে' ফিরবেন অনুব্রত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মঙ্গলবারই বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর কেষ্ট মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়নি। উল্লেখ্য, প্রতি বছর নিয়মিত কেষ্টকে পাশে নিয়ে জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতেন মমতা। এবারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
২০২২ সালের অগাস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। যদিও তখন থেকেই সিবিআই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া চালাতে চাইছিল। পরে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় ইডির হাতেও গ্রেপ্তার হন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। তার পর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তিহাড় জেলে বন্দি করা হয়। ২ বছর ৯ দিন পর জামিন পেয়েছেন। এবার জেলমুক্তির পালা। তার পরই বীরভূমে প্রত্যাবর্তন।
এদিকে পুজোর মুখে ডিভিসির জলে ভেসেছে একাধিক জেলা। প্লাবিত হয়েছে বীরভূমও। সেখানকার ৫৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার ডুবেছিল জলে। প্লাবিত হয়েছিল ৭টি ব্লকের ১০ হাজার পরিবার। জলের নিচে চলে গিয়েছিল সতীপীঠ কংকালী তলাও। এবারের জেলা সফরে সেই সতীপীঠেও যেতে পারেন মমতা। দুর্গত পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। ঘুরে দেখতে পারেন বানভাসি এলাকাও। এর পরউ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। কেষ্টর গ্রেপ্তারির পর থেকে জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক হয়নি। উল্লেখ্য, তাঁকে এখনও জেলা সভাপতির পদ থেকে সরায়নি তৃণমূল। ফলে তিনি এই বৈঠকে থাকেন কি না, সেদিকে সকলের নজর থাকবে।
গত দুবছরে জেলায় একাধিক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। সেই খতিয়ান নিয়েই এবার বৈঠক। এ প্রসঙ্গে জেলার তৃণমূল সভাপতি কাজল শেখ বলেন, "শর্ট নোটিসে বৈঠকে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কাজের খতিয়ান নিয়ে সবসময় তৈরি।"