দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কলকাতা পুলিশের আওতায় আসছে ভাঙড়। আগামী ২ জানুয়ারি ভাঙড়, উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বর থানার ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে চারটি থানা পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
সারা বছরই প্রায় উত্তপ্ত থাকে ভাঙড়। বোমা-গুলির বিরাম নেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে না হতেই কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় ভাঙড়ে। নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরেও রোখা যায়নি প্রাণহানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ভোট ‘হিংসা’ নিয়ে বলতে গিয়ে ভাঙড়ের কথা উল্লেখ করেন। নাম না করে পরোক্ষে ভাঙড়ে অশান্তির দায় ‘হাঙর’ আইএসএফের উপর চাপান। পঞ্চায়েত ভোট মেটার পর অশান্ত ভাঙড়কে শান্ত করতে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মোহন ভাগবত, নয়া জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে]
তড়িঘড়ি আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গত চারমাস ধরে টালবাহনার পর অবশেষে ভাঙড়ের চারটি থানা কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। আগামী ২ জানুয়ারী ভাঙড় ও উত্তর কাশীপুর থানা ছাড়াও পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর থানার ভারচুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রবিবার থানাগুলি পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
থানা উদ্বোধন ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে। শনিবার রাতেই ভাঙড়ের চারটি থানাতে পৌঁছয় পুলিশের লাঠি, হেলমেট, ওয়াকি টকি-সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ভাঙড়ের জন্য নিযুক্ত ডেপুটি কমিশনার সৈকত ঘোষ নিজেই এই কাজ তত্ত্বাবধান করেন। সূত্রের খবর, নতুন বছরের শুরুতেই ফোর্সও ঢুকবে থানাগুলিতে।