সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভাষা-মোদের ভালবাসা, সবাইকে নিয়ে বাঁচার আশা’। এভাবেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার টুইট করে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লেখেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। মাতৃভাষার জন্য যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদের কুর্নিশ জানাই। দেশের সমস্ত ভাষাকেই আমরা ভালবাসি। প্রতিটি ভাষাকেই উদযাপন করা দরকার। মাতৃভাষা আমাদের সকলের প্রিয়।”
[আরও পড়ুন: আনিস খান হত্যাকাণ্ডের জল গড়াল হাই কোর্টে, স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আরজি আইনজীবীর]
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক পবিত্র, অবিস্মরণীয় দিন। অবিভক্ত পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার দাবিতে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন চলাকালীন তরুণদের যুবকদের ওপর তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের নির্বিচার গুলিবর্ষণের কথা ভাবলে আজও ক্ষোভ উসকে ওঠে আমবাঙালির হৃদয়ে। আন্দোলন দমন করতে ১৯৫২ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করেন। সেই মিছিলে পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান সালাম, রফিক, বরকত, জব্বাররা। প্রাণের ভাষা প্রতিষ্ঠায় তাঁদের এই বলিদান সেদিন তো সফল হয়েছিলই, কালক্রমে সালাম, রফিক, বরকতদের মহান লক্ষ্য আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পায়। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি রয়েছেন, সকলে একযোগে আজকের দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করেন। শুধু বাঙালিই নন, অন্যান্য ভাষাভাষির মানুষজনও নিজের মাতৃভাষার প্রতি এদিন বিশেষ শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে থাকেন।
এপার বাংলার মতো এবারও বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে মাতৃভাষা দিবস। তবে কোভিডবিধি মেনেই হবে এবারের অনুষ্ঠান। যদিও হাসিনা সরকার জানিয়েছে, সে দেশে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি। তাই আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের (International Mother Language Day) পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। ২২ তারিখের পর আর সেভাবে কোনও বিধি মানতে হবে না বাংলাদেশবাসীকে। তবে জমায়েতের ক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক।