shono
Advertisement

Breaking News

নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি, মোদিকে চিঠি মমতার

কেন্দ্রের কাছে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরানোর আরজিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 05:34 PM Nov 18, 2020Updated: 05:36 PM Nov 18, 2020

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পত্রাঘাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি, কেন্দ্রের কাছে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরানোর আরজিও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মন্দের ভাল, অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি পেলেন অশীতিপর ভারভারা রাও]

বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাঠানো চিঠিতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির ভূমিকার কথা তুলে ধরে মমতা লিখেছেন, “আগামী ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ দেশজুড়ে নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালিত হবে। নেতাজি শুধু বাংলার সুপুত্রই নন, তিনি জাতীয় নায়কও। তাঁর নেতৃত্বে ব্রিটিশ শাসন উপড়ে ফেলতে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়ে চরম বলিদান দিয়েছেন হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী। প্রতিবছর দেশজুড়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি আমরা। বহুদিন ধরেই কেন্দ্র সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। তাই জাতীয় নায়ককে যোগ্য সম্মান দিতে ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক।”

এদিনের চিঠিতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবির পাশাপাশি, কেন্দ্রের কাছে নেতাজির (Subhas Chandra Bose) অন্তর্ধান রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরানোর আরজিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নেতাজির অন্তর্ধানের বিষয়ে জানার অধিকার রয়েছে বাংলার ও দেশের মানুষের। এই বিষয়ে বেশ কিছু গোপন ফাইল জনসমক্ষে এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার এই রহস্যের সমাধান করে তা জনসমক্ষে পেশ করুক কেন্দ্র।

উল্লেখ্য, মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজির বিমান দুর্ঘটনা পর্ব পর্যন্ত বাঙালির কৌতুহলের শেষ নেই। ‘বোস ক্যান বি এ মেজর থ্রেট, ফাইন্ড হিম নাউ’। অর্থাৎ ‘বোস বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এখনই তাঁকে খুঁজে বের কর।’ ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগকে এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ভিক্টর হোপ। ১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতার বাড়ি থেকে নেতাজির অন্তর্ধানের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সাহেবদের মধ্যে। তারপর বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা থেকে মণিপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযান সবই ইতিহাস। নেতাজিকে নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা। তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু-রহস্য নিয়ে তিন-তিন বার তদন্তও চালায় ব্রিটিশ সরকার। ভারতেও একাধিক কমিশন তদন্ত চালালেও অকাট্য প্রমাণ আজও মেলেনি।

[আরও পড়ুন: ভারতীয় সৈনিকদের পুড়িয়ে মারতে গোপন ‘মাইক্রোওয়েভ’ হাতিয়ার ব্যবহার করেছিল চিন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement