সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে কার্যত অচল রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা। নাস্তানাবুদ প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে শুরু করল বিজেপি। চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি উঠছিল। কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে এসে সক্রিয় হন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান এসএসকেএমে। সেখানে গিয়েও মমতাকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা যায় রীতিমতো অগ্নিশর্মা রূপে। চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। বিজেপির প্রশ্ন যত কাণ্ড যখন এনআরএসকে কেন্দ্র করে তখন মমতা কেন এসএসকেএম গেলেন? এনআরএসে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কেন বললেন না।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জের পালটা গণইস্তফা! পদত্যাগ সাগর দত্ত হাসপাতালের ৮ চিকিৎসকের]
এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেই দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার (এনআরএস) মুখ নেই। ওখানে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তেন।’জয় শ্রী রাম’ বলে স্বাগত জানাতেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর হেলিকপ্টারে নবান্নে যাবেন।’ মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করে দিলীপ বলেন, ”একটি বিশেষ সম্প্রদায়, যাদের দুধ খান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাই সন্দেশখালিতে খুন করেছে। চিকিৎসকদের হামলা ওই বিশেষ সম্প্রদায়ই চালিয়েছে। বিজেপির উপরে হামলা করা হচ্ছে। গত এক বছরে একটাও এফআইআর দেখলাম না। কেউ শাস্তি পেল না।” অর্থাৎ বিজেপি রাজ্য সভাপতি এহেন জটিল পরিস্থিতিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করছে। এবং সেই সঙ্গে সুক্ষভাবে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টাটিও করতে ছাড়লেন না মেদিনীপুরের সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ‘কাউকে আর ডাক্তারি পড়াব না’, বলছেন এনআরএসে আহত পরিবহর পরিজনেরা]
প্রশ্ন উঠছে, এ হেন জটিল পরিস্থিতিতে দোষারোপের এই রাজনীতি কি আদৌ কাম্য? দোষারোপে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পিছিয়ে নেই। এদিন এসএসকেএমে গিয়ে তিনিই অভিযোগ করেছিলেন, চিকিৎসকদের আন্দোলনের নামে আসলে বহিরাগতরা আন্দোলন করছে। বাইরে থেকে চিকিৎসকদের উসকানো হচ্ছে। এমনকী কিছু কিছু চিকিৎসক পদবি দেখে চিকিৎসা করছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
The post ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনির ভয়ে এনআরএসে যাননি মমতা’, ঘোলা জলে রাজনীতি দিলীপের appeared first on Sangbad Pratidin.