সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা দেশে বিজেপি-বিরোধিতায় প্রধান ‘মুখ’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। শরদ পওয়ারের দাবির প্রেক্ষিতে ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দিল্লিতে পওয়ার দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি মমতা। তৃণমূল (TMC) নেত্রী নিজেই নাকি এনসিপি সুপ্রিমোকে সেকথা বলেছেন। তৃণমূলের তরফে পওয়ারের সেই দাবি একপ্রকার খণ্ডন করা হয়েছে। বিধায়ক তাপস রায়ের ইঙ্গিত, জোটে থাকতে আপত্তি নেই তৃণমূলের। তবে, তার নেতৃত্বে থাকবেন মমতা। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন পওয়ারকে রীতিমতো কটাক্ষই করেছেন।
বুধবার দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) বলেছিলেন, “মমতা নিজে আমাকে বলেছেন, তাঁর দল জাতীয় স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। বিজেপিকে (BJP) কঠিন লড়াই দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য।” পওয়ার জানান, বাংলার নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেসের ভূমিকায় তৃণমূলের অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূল সব ভুলতে রাজি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Tapos Roy) বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইটাই মুখ্য বিষয়। এই লড়াইয়ে মমতা বিরোধী ঐক্য চান। সেই সঙ্গেই তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন যে বিরোধী শিবিরে নেতৃত্ব দেবেন মমতাই। কারণ, দেশে বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ তিনিই।”
[আরও পড়ুন: ৫ রাজ্যের ভোটে কোটি কোটি ব্যয় বিজেপির, ‘রামরাজ্য পেতে খরচ তো হবেই’, কটাক্ষ মহুয়ার]
তাপসের স্পষ্ট বার্তা, “বরাবরই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সর্বত্র তাঁর বক্তৃতায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, কর্মসংস্থান, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কেন্দ্রের প্রয়াস ইত্যাদির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন। ওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনিও বিরোধী ঐক্য চান। কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল চাইছে বিরোধী-শূন্য ভারত। সারা দেশে কেন্দ্র ও বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান মুখ।
[আরও পড়ুন: ‘কানাডায় বাড়ছে ভারতবিদ্বেষ’, পড়ুয়া ও পর্যটকদের সতর্ক করল কেন্দ্র]
অন্যদিকে ডেরেকের (Derek O’Brien) বক্তব্য,”উনি গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পিছিয়ে গিয়েছিলেন।” ডেরেকে’র দাবি, পওয়ার প্রথমে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে পিছিয়ে যান, আর তাতে মুখ পোড়ে তৃণমূলের। শেষে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করতে হয়। ডেরেকের ইঙ্গিত, পওয়ার আসলে কংগ্রেসকে (Congress) সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন।