সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মতুয়া মহাসংঘের অনুষ্ঠানে বর্ধমানের (Burdwan) মেমারিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। রাস্তা, শৌচালয়, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরি না হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। এলাকায় উন্নয়নের কাজ না হওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর সকলের সামনে মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগমকেই কাঠগড়ায় তোলেন মমতাবালা ঠাকুর। সেই কারণে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের ক্ষতির কথাও সরাসরি বিধায়ককে বলেন তাঁরা। নার্গিস বেগম অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মমতাবালা সরাসরি বিধায়ককে কাজ না করার জন্য ক্ষোভের কথা জানান। বলেন, “আপনাকে বলা সত্ত্বেও আপনি এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়ালে আমরা ভোট চাইব কী করে? এতে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি হচ্ছে।”
স্থানীয়দের বিক্ষোভ এড়িয়ে মঞ্চে উঠে নাগরিকত্ব ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি। শুক্রবার মতুয়াদের (Motua) কয়েকটি কর্মসূচিতে তাঁর অভিযোগ, নিয়ে মতুয়াদের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “ঠাকুরনগরে এসে অমিত শাহ মতুয়াদের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করেছেন। দেশে সব কিছু চালু হয়ে গিয়েছে। আর উনি বলছেন করোনার টিকাকরণ হয়ে গেলে এনআরসি চালু করবেন। আমাদের নাকি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে, তা করব কেন? আমরা ভারতীয়। আইন করে আমাদের নাগরিকত্ব দিক। আসলে ভোট বৈতরণী পার হতে ভাঁওতা দিচ্ছে।” পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন ঠাকুরনগরে এসে অমিত শাহ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিলেও একবারও ‘হরিবোল’ বলেননি। তাঁর কথায়, “ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে প্রণাম করেননি। ‘জয় শ্রীরাম’ আমরাও বলি। কিন্তু উনি একবারও ‘হরিবোল’ না বলে মতুয়াদের অপমান করেছেন।”
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ছেলে, ২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেলে স্বস্তি মায়ের]
কালনাতে মমতাবালার কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানিয়েছেন, এলাকায় মতুয়াদের যে আশ্রমগুলি রয়েছে সেখানে বিশ্রামাগার গড়া হবে। কালনার শ্বাসপুরের যে মাঠে এদিন সভা হয় সেখানে ‘আর্দেন স্টেডিয়াম’ গড়ার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। মমতাবালা দলবদল নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন এদিন। তিনি বলেন, “একসময় সিপিএমের যারা নির্মম অত্যাচার করেছিল তারাই এখন জামার রঙ বদলে বিজেপি হয়েছে। লাল বদলে গেরুয়া হয়েছে।”