ধীমান রায়, কাটোয়া: স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরম আকার নিয়েছিল। স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন ,আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরবেন না। এর নিষ্পত্তি হোক, চাইছিল দুই পরিবারই। তাই আপস-মীমাংসার জন্য উভয় পরিবারকে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন সিপিএমের (CPM) কয়েকজন নেতা। আর ওই আলোচনার মধ্যেই শ্বশুরকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল পুত্রবধূ ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন শেখ জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাটোয়ার (Katwa) দেওয়ানদিঘিতে।
জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তির বাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার ক্ষেতিয়া গ্রামে। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে ভাতার বাজারে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে বসে আলোচনার মধ্যেই তাঁর উপর আচমকা চড়াও (Atttack) হন পুত্রবধূ খায়রুন্নেসা খাতুন। তার পর খায়রুন্নেসার বাবা, ভাইরা মিলে এলোপাথাড়ি মারধর (Beaten) শুরু করে। মারের চোটে বাঁ চোখে গুরুতর চোট পেয়েছেন শেখ জহিরুল আলম। শনিবার ছেলে শেখ মফিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভাতার থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাইরে সন্ত্রাস, ভিতরে নজরদারি’, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথেও বিস্ফোরক রাজ্যপাল]
ভাতারের (Bharat) মাহাতা গ্রামের বাসিন্দা শেখ খয়ের আলির মেয়ে খায়রুন্নেসা খাতুনের ১১ মাস আগে বিয়ে হয় ক্ষেতিয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ জহিরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে শেখ মফিজুল হকের সঙ্গে। মফিজুল মার্বেল মিস্ত্রি। জানা গিয়েছে খায়রুন্নেসার মাসির বাড়ি ক্ষেতিয়া গ্রামেই। শেখ মফিজুল হক বলেন,” বিয়ের পর আমার স্ত্রী দিন দশেক আমাদের বাড়িতে ঠিকঠাকভাবেই ঘর সংসার করেছিল। তারপর দেখি অধিকাংশ সময় ওর মাসির বাড়িতে কাটায়। সেখানে গিয়ে স্মার্টফোন (Smart phone) নিয়েই ব্যস্ত থাকে। রাত হয়ে গেলে ডেকে ডেকে নিয়ে আসতে হত। এনিয়ে আপত্তি করার পর আমার স্ত্রী ওর বাপেরবাড়িতে চলে যায়। তারপর আমাদের বাড়িতে আসেনি।”
[আরও পড়ুন: ‘বাস আটকালে হেঁটেই যাব’, ‘দিল্লি চলো’ সফল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তৃণমূল কর্মীরা]
শেখ জহিরুল ইসলাম বলেন,”আমরা বউমার বাপের বাড়িতে কথা বলি। তার পর ওরা জানিয়ে দেয় বউমা তালাক দিয়ে দেবে। এর মধ্যে বউমা আমাদের বিরুদ্ধে কেসও করেছে। তার পর দুই পরিবার মিলেই ঠিক হয় আলোচনার মধ্যে দিয়ে মিটমাট করে নেওয়া হবে। বিয়ের সময় দেওয়া দেনাপাওনা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
এদিন শনিবার শেখ জহিরুল ইসলাম ভাতার থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। অন্যদিকে, খায়রুন্নেসা খাতুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়িতে তার স্বামী ও অন্যান্যরা মিলে নির্যাতন করছিল। তার জন্যই এই ঝামেলা সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানায় ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সময় আলোচনার মধ্যে ছিলেন ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএম নেতা সুভাষ মণ্ডল। তিনি বলেন,” দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার সময় একটু ঝামেলা হয়। তবে এমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”