দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মদ্যপ অবস্থায় জুয়ার ঠেকে গিয়ে ভিড় জমিয়েছিলেন তিন যুবক। তারপর আর বাড়ি ফেরা হল দু’জনের। কারণ, রাতেই পরিজনেরা খবর পান দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত অপর যুবকের বিরুদ্ধে উঠেছে খুনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) কাশীপুরের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জুয়ার ঠেকে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে তাদের। নিহত দুই যুবকের কারও সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল না বলেই দাবি পরিবারের।
নিহতেরা হল রবিউল ইসলাম খান এবং লাল্টু মোল্লা। অভিযুক্ত নেত্তাউদ্দিন খান। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই কাশীপুর এলাকারই বাসিন্দা। নিহতদের পরিজনদের দাবি, শনিবার সন্ধেয় নেত্তাউদ্দিন, রবিউল এবং লাল্টু প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করে। তবে এই প্রথমদিন নয়। প্রায়দিনই মদ্যপান করে এলাকায় ঘোরাফেরা করত তিনজনে। প্রথমে লাল্টু এবং রবিউল নেত্তাউদ্দিনকে নিয়ে তাঁদের এক আত্মীয়ের দোকানে যান। সেখানে গিয়ে নেশার ঘোরে আবোল তাবোল কথাবার্তা বলতে থাকে তারা। আত্মীয় বিরক্ত হয়ে চলে যেতে বলেন। তাতেই কিছুটা আত্মসম্মানে লাগে তিনজনের। ওই দোকান ছেড়ে চলে যান তারা। এরপর গভীর রাতে ওই আত্মীয় খোঁজ পান রবিউল এবং লাল্টুর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই তিনজনের জুয়ার ঠেকে যাওয়ারও অভ্যেস ছিল। তাই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জুয়ার ঠেকে বিবাদের জেরে লাল্টু এবং রবিউলকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে। তাতেই প্রাণহানি হয়েছে দু’জনের।
[আরও পড়ুন: উপাচার্যের নামে ভুয়ো Email আইডির মাধ্যমে ‘প্রতারণা’, পুলিশের দ্বারস্থ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ]
এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত নেত্তাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন নাকি জুয়ার ঠেকে বিবাদের জেরে নেশার ঘোরে দুই যুবককে খুন করেছে নেত্তাউদ্দিন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও নিহত দুই যুবকের পরিজনদের দাবি, লাল্টু কিংবা রবিউল কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত বিবাদ ছিল না।