অর্ণব আইচ: নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ২২ বছরের যুবক। নববধূ হিসেবে তাকে ঘরেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সাধ করে ছবি দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতেই বিপত্তি। ‘নববিবাহিত’ হিসেবে নাবালিকার ছবি দেখেই তৎপর হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অভিযোগ যায় পুলিশের কাছে। ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে হাজতবাস হয় যুবকের।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় দে। ২২ বছরের সঞ্জয় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মানিকতলা রোডের বাসিন্দা সঞ্জয়ের সঙ্গে এলাকায় যাতায়াতের সূত্রেই পরিচয় হয় মধ্য কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকার যোগেন দত্ত লেনের ওই কিশোরী ছাত্রীর সঙ্গে। অল্প সময়ের মধ্যেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: বেআইনি শিক্ষক নিয়োগে বিরাট অঙ্কের আর্থিক লেনদেন, FIR করে তদন্ত শুরু ইডিরও]
সঞ্জয়ের মায়ের দাবি, এখনই তাঁর ছেলের বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না। ওই কিশোরীই বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রবিবার একটি মন্দিরে গিয়ে দু’জন বিয়ে করে। কিশোরীর মা জানান, তিনি দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে কিছুই জানতেন না। বিয়ের পর শুধু মেয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানান। যুবকের পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে ‘নতুন বউকে’ নিয়ে বাড়িতে আসেন সঞ্জয়। বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। বিয়ের সময় উপস্থিত সঞ্জয়ের কয়েকজন বন্ধু ছবি তোলে। সোমবার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার এনজিও’র সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু বিবাহ আইনে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়কে। ১৬ বছর বয়সের যে কিশোরীকে ২২ বছরের যুবক বিয়ে করেছিলেন তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে বল খবর। তাছাড়া, মন্দিরে যে পুরোহিত কিশোরীর সঙ্গে সঞ্জয়ের বিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।