সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধুনিক জীবনে ক্রমাগত আয় বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকে না গৃহস্থের। কারণ ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের জিনিস! যেমন বিদ্যুৎ। যা ছাড়া আজকের দিনে বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। অন্যদিকে সমস্যা, ঘরে যত স্বাচ্ছন্দের জিনিস বাড়ে, তত বাড়ে বিদ্যুতের বিল (Electric Bill)। এমন অবস্থায় কিছু দিন আগে এক মাসে ৩১ হাজার টাকা বিল আসে চাভদার টোডোরভের (Chavdar Todorov) বাড়িতে। যা দেখে মাথায় হাত পড়ে তাঁর। এত টাকা কীভাবে দেবেন! এর পরেই পরিবারের আপত্তি সত্বেও কঠিন সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ির বিদ্যুতের লাইন কেটে দেন তিনি। ঠিক করেন, বিদ্যুৎ ছাড়া বাঁচা অভ্যাস করবেন। বাস্তবে তাই করেন। বর্তমানে আলো ঝলমলে শহরের মাঝখানে এক টুকরো প্রাক বিদ্যুৎ যুগ চাভদার টোডোরভের বাড়ি!
সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) চাভদার টোডোরভের এই কাণ্ড ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। যদিও তিনি ঠিক কোথাকার বাসিন্দা তা জানা যায়নি। নেটদুনিয়া অবশ্য অনেক বেশি কৌতূহলী টোডোরভ ও তাঁর পরিবারের আশ্চর্য বাঁচা নিয়ে। ৫৩ বছরের টোডোরভ জানিয়েছেন, এক মাসে ৩১ হাজার টাকা বিল আসার পরে তিনি প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর ফলে আয়ের অধিকাংশ দিয়ে দিতে হয় বিদ্যুৎ পর্ষদকে। এহেন পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হত। সেই কারণেই চ্যালেঞ্জটা নেন। এবং পরিবারের সকলকে জানিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ছেড়ে দেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কী করে চলবে?
[আরও পড়ুন: ষোলো বছর পর বেতন বাড়ল ৬০ টাকা! অস্থায়ী শিক্ষকদের ক্ষোভের মুখে মহারাষ্ট্র সরকার]
রাতের যাপনে দুই সন্তান, স্ত্রী ও নিজের জন্য একটি করে বিশেষ ধরনের টর্চ কেনেন টোডোরভ। সাধারণত এই ধরনের টর্চ ব্যবহার করে খনি শ্রমিকরা। মাথায় লাগানো থাকে টর্চগুলি। এর ফলে কোনও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না বলেই দাবি টোডোরভের। তিনি জানিয়েছেন, এলইডি টর্চগুলির দাম মাত্র ৮২০ টাকা। অতএব, মাথা পিছু ৮২০ টাকা করে খরচ করেই রাত দিব্য আলোকময় ভাবেই কাটছে টোডোরভ ও তাঁর পরিবারের।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া, খুনের পর স্ত্রীকে কেটে টুকরো করল স্বামী, দেহাংশ ফেলল জঙ্গলে]
অনেকেই অবশ্য এই কাজকে নিখাদ পাগলামো বলছেন। তাদের বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোনোর বদলে পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টোডোরভ। এভাবে জীবন থেকে পালানো যায় না। টোডোরভ অবশ্য তা মানতে নারাজ। টোডোরভের স্ত্রী মোডাও স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, রাতে তাঁদের বাড়ি সভ্যতার চেয়ে বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে। কালো রাতে মোমবাতির আলো জ্বেলে টোডোরভের সঙ্গে প্রেম করেন মোডা।