সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাগ মিলিয়ে গলেও পুলওয়ামা হামলার বেদনা এখনও দেশের শিরায় শিরায়। নিয়ম মেনে চলা তদন্তের জেরে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, ওই জঙ্গি হামলা ঘটানোর জন্য অনলাইন শপিং সাইট আমাজন থেকেই রাসায়নিক পদার্থ কেনা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামার শহিদ বাবলু সাঁতরার বাড়িতে রাজ্যপাল, পরিবারকে দিলেন ৫ লক্ষ টাকার চেক]
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে হামলার নেপথ্যে অনেকেই জড়িয়ে, এমন সন্দেহ বরাবরই ছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি তৈরির জন্যে অনলাইনে মালমশলা কিনেছিল অভিযুক্তরা। গত বছর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া ওই জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। গতকাল শ্রীনগরের বাসিন্দা ১৯ বছরের ওয়াজ-উল-ইসলাম এবং পুলওয়ামার বাসিন্দা ৩২ বছরের মহম্মদ আব্বাস রাথারকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। এই নিয়ে পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ওই তদন্ত সংস্থা।
অভিযুক্তদের জেরায় জানা গিয়েছে, ওয়াইজ-উল-ইসলাম স্বীকার করেছে যে আমাজন অ্যাপে অনলাইনে শপিংয়ের অ্যাকাউন্ট ছিল তার। সেটা ব্যবহার করেই আইইডি বিস্ফোরক বানানোর জন্য রাসায়নিক, ব্যাটারি-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম আনিয়েছিল সে। আর সব কাজই হয়েছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নির্দেশে। জেরায় ধৃত ইসলাম জানিয়েছে নিজে হাতে জঙ্গিদের ডেরায় সবকিছু পৌঁছে দিয়ে এসেছিল সে। আরেক সনেহভাজন মহম্মদ আব্বাস রাথার বহুদিন ধরেই জইশ জঙ্গিদের হয়ে কাজ করছিল। এনআইএ জানিয়েছে, রাথার জইশের পুরনো সদস্য। ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ কাশ্মীরে আসা জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্য তথা আইইডি বিশেষজ্ঞ মহম্মদ উমরকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল সে। সব মিলিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ, ধৃত বাবা ও মেয়ে]
The post পুলওয়ামা হামলার জন্য আমাজন থেকে কেনা হয়েছিল রাসায়নিক পদার্থ! appeared first on Sangbad Pratidin.