সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করার জের। ভাইয়ের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল এক যুবক। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ডিন্ডিগুল জেলায়। আগুনে পোড়ানোর আগে দু’ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তামিলনাড়ু পুলিশ (Police)।
ঘটনাটি ঘটে ২ এপ্রিল। মৃতার নাম অঞ্জলি। ২২ বছর বয়সি অঞ্জলির স্বামী পেশায় দিনমজুর। যৌথ পরিবারে থাকতেন অঞ্জলির ভাসুর কারুপ্পাইয়া। প্রায়ই সে অঞ্জলির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত বলে জানা গিয়েছে। অঞ্জলিকে মারধর করত কারুপ্পাইয়া, এমনটাই দাবি স্থানীয় গ্রামবাসীদের। ঘটনার দিন অঞ্জলি তাঁর দেড় বছরের শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভেড়া চড়াতে বেরিয়েছিলেন। তার পিছু নেয় কারুপ্পাইয়া এবং হেনস্তা করার চেষ্টা করে। অঞ্জলি সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতেই আক্রমণ করে কারুপ্পাইয়া। নিজের কুঠার দিয়ে প্রথমে অঞ্জলি ও তার শিশু পুত্র মালারভিজিকে কোপায় সে। তার পরেও দু’ জনে বেঁচে আছে দেখে তাদের গায়ে আগুন (Burnt Alive) ধরিয়ে দেয়। পুড়ে মারা যায় অঞ্জলি (Burnt Woman) এবং তার একরত্তি সন্তান।
[আরও পড়ুন: ভালবাসার গান গেয়ে গ্র্যামি জিতলেন পাকিস্তানিকন্যা আরুজ আফতাব]
বিকেল হয়ে যাওয়ার পরেও অঞ্জলি না ফেরায় সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষের। তাঁরা খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই দেখতে পান জ্বলন্ত দেহ দু’ টি। পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীরা ধরে ফেলেন অভিযুক্ত কারুপ্পাইয়াকে। রাগের বশে গ্রামবাসীরা মারধর করেন তাকে। জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কারুপ্পাইয়াকে।
পুলিশ মৃতদেহ দু’ টি ময়না তদন্ত করতে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন অঞ্জলি। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার স্বামী শিবকুমার তাঁর দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।