সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বছর বাইশের এক যুবক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। রবিবার সন্ধ্যের পর পাঁচতলা আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হলেও সোমবার সন্ধ্যেয় মৃত যুবকের মা ছেলের দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তাই এই ঘটনা খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই তাঁরা উপর থেকে নিচে কিছু পড়ার জোর শব্দ পান। কাছে গিয়ে বাসিন্দারা দেখেন এক যুবক দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্কুটির উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আবাসনের আবাসিকরা অপরিচিত যুবককে ওই অবস্থায় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহেশতলা থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: চোপড়া কাণ্ডের ভিডিও পোস্ট, সেলিম-মালব্যর বিরুদ্ধে FIR নির্যাতিতার]
পাঁচতলা আবাসনের ছাদ থেকে ওই যুবক নিজে মরণঝাঁপ দিয়েছে না পিছন থেকে কেউ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ঠেলে ফেলে হত্যা করেছে তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে রাতেই সেখানে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান কুসুম ঘোষ এবং ডিএসপি (শিল্প) কামরুজ্জামান মোল্লা। পুলিশ সূত্রে খবর, আবাসনের ছাদ থেকে দুটি দামি মোবাইল, একটি চামড়ার পিঠব্যাগ ও একজোড়া জুতো উদ্ধার হয়েছে। ব্যাগে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মৃত যুবক উস্তির শিরাকোলের বাসিন্দা ছিলেন। একটি মেডিকেল কোচিং সেন্টারের ছাত্র ছিলেন তিনি।
আবাসনের কয়েকজন আবাসিকের দাবি, ঘটনা ঘটার কিছু আগে ওই আবাসনের চারতলার একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে কয়েকজনকে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলতে দেখেছিলেন তাঁরা। আবাসিকদের দাবি মতো সে বিষয়টি নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান, মৃত যুবকের মা সোমবার আশিকের দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করায় খুনের মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন ও ওই আবাসনের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।