অর্ণব আইচ: পুলিশের মারধর নাকি অসুস্থতায় মৃত্যু? দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থানা এলাকার আজাদগড়ের বাসিন্দার মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। তারপরই মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, যুবক মাদকাসক্ত ছিলেন। মারধরের জন্য তাঁর মৃত্যু হয়নি। এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ তিন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার রাতে দীপঙ্কর সাহা ও তাঁর চার বন্ধু মাদক নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের গল্ফগ্রিন থানায় নিয়ে আসে। থানার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত ১০টা ২৬ মিনিটে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার সেরেস্তায় তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আধ ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর দীপঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমস: কুস্তিতে সোনা জয় বজরং-সাক্ষী-দীপকের, রুপো অংশু মালিকের]
যদিও পুলিশের প্রশ্ন, রবিবার যদি তাঁকে মারধর করা হয়, তবে শুক্রবার কীভাবে তাঁর মৃত্যু হতে পারে? তাঁর দেহে কিছু ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।
সেই ক্ষতগুলি কত পুরনো, তা চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, তাঁর দাদা এলাকার বিজেপি নেতা। দাদা গত পুরভোটের প্রার্থীও হয়েছিলেন। যদিও এই মৃত্যুর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক মেলেনি বলে দাবি পুলিশের। তবে তদন্তে যদি মারধরের প্রমাণ মেলে, সেইমতো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হবে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। এই ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, পুরো ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।