নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি: বাড়িওয়ালির অনুপস্থিতিতে বাড়ির মেঝে খুঁড়ে এক মানুষ সমান গর্ত খুঁড়লেন ভাড়াটিয়া। বাড়িওয়ালির নজরে ঘটনা আসতেই তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ভাড়াটিয়ার দাবি, মাটির তলায় গর্ত করে থাকলে শরীর ভাল থাকবে বলেই তিনি গর্ত খুঁড়েছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া কলেজের কাছে এ ডি পাল রোডে।
ভাড়াটিয়া কৃষ্ণপ্রসাদ সাউয়ের একটি দোকান রয়েছে। তিনি রিঙ্কু চক্রবর্তীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া রয়েছেন। ভাড়া বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই নিজের বাড়ি রয়েছে ওই ভাড়াটিয়ার। সেখানে তাঁর ছেলে অশ্বিনী সাউ থাকেন। এলাকায় অশ্বিনী একজন তৃণমূল যুব নেতা হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে তিনি পুরীতে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: আর ‘রাজনীতি’ নয়, ‘মোদি’ মন্তব্যে শাস্তি বাতিলের দাবিতে আবেদন রাহুলের]
বাড়িওয়ালি রিঙ্কু চক্রবর্তী তাঁর মেয়েকে নিয়ে পাঁচ-ছয় দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ফিরে আসেন। রিঙ্কু চক্রবর্তী জানান, হঠাৎই রাতের দিকে ভাড়াটিয়ার ঘরে একজন লেবারকে ঢুকতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। রাতে এ নিয়ে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে অশান্তি হওয়ার পর তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও শুক্রবার তিনি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান।
এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের নিয়ে ভাড়াটিয়ার ঘরে প্রবেশ করার পরই চক্ষু চড়কগাছ রিঙ্কুদেবীর। দেখেন একতলার মেঝেতে ৮ ফুট গভীর বড় গর্ত খোঁড়া হয়েছে। রীতিমতো বিপজ্জনক অবস্থায় যেকোনও সময় গোটা বাড়িটি ধসে যেতে পারে। এই বিষয়ে ভাড়াটিয়া ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ কৃষ্ণপ্রসাদ সাউ বাড়িওয়ালির অনুপস্থিতিতে গর্ত খোঁড়ার সাফাই দিতে গিয়ে বলেন, তাঁর কোমর ভাঙা। ঠিক করে দাঁড়াতে পারেন না। তাই চিকিৎসক নাকি তাঁকে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে থাকতে বলেছেন। আর সেই কারণে সাত দিন ধরে বাড়িতে লেবার ডেকে এনে মাটিতে গর্ত খুঁড়েছেন।