রাজা দাস, বালুরঘাট: মদ্যপ অবস্থায় বিষপান! জোড়া তরল যুবকের শরীরে ঢুকে জোরদার বিষক্রিয়া তৈরি করেছিল। তাই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর পেট থেকে তরল বের করার পরও শেষরক্ষা হলো না। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুরের বেহস্তলি এলাকায় গভীর রাতে মৃত্যু হল যুবকের। তবে কেন তিনি আত্মহত্যার এই পথ বেছে নিলেন, সেই কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার। আকস্মিক ঘটনায় স্বভাবতই শোকের ছায়া পরিবারে।
জানা গিয়েছে, পেশায় টোটোচালক মৃত যুবকের নাম মাজিদুর রহমান, বয়স ২২ বছর। তাঁর সাত মাসের এক সন্তান রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মাজিদুর সর্বমঙ্গলা এলাকার বাজারে গিয়ে মদ্যপান করে। পরে ঘাস মারার বিষ খেয়ে নেন। এর পর নিজেই বাড়ির লোককে ফোন করে জানান, মদ্যপানের পর বিষ পান করেছে। পরিবারের লোকজন দ্রুত সর্বমঙ্গলা বাজারে ছুটে আসেন। তাঁকে বাজার এলাকা থেকে খুঁজে বের করে গঙ্গারামপুর (Gangarampur) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
[আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় প্রকাশ্যে খুন! পারিবারিক বিবাদে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ]
চিকিৎসা চলাকালীন রবিবার গভীর রাতে মাজিদুরের মৃত্যু (Death) হয়। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সোমবার সকালে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে এসে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভার আগে বীরভূমে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে ‘চোর’ পোস্টার]
কিন্তু কী কারণে ওই যুবক বিষপান করেছিল, তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের লোকজন। মৃতের কাকা কাশেম মিঞা জানান, ”সকালে টোটো নিয়ে বেরিয়েছিল মাজিদুর, সেখানে মদ্যপান করে। পরে কী কারণে বিষ খেয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আমরা। কোনও ঝামেলা, অশান্তি ছিল না বাড়িতে। হাসপাতালে ভর্তির পর ওয়াশ করে সব বের করে দেওয়া হয়। কিছুটা ভালো হয়। কিন্ত রাতে জ্ঞান হারায় এবং মারা গিয়েছে। এর পিছনে কোনও ঘটনা থাকলে পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।”