অভিষেক চৌধুরী,কালনা: কথায় আছে, ভাগ্যে থাকলে কী না হয়! জোর করে বন্ধুদের কেটে দেওয়া লটারির (lottery) টিকিটেই ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা। রাতারাতি একেবারে কোটিপতি হয়ে গেলেন মন্তেশ্বরের সিংহালী গ্রামের বাসিন্দা সাধন দাস। শনিবার সকাল থেকে সকলের মুখে মুখে ফিরছে তাঁর কোটিপতি হয়ে যাওয়ার গল্প।
মন্তেশ্বরের সিংহালী গ্রামের বাসিন্দা সাধন দাস মন্তেশ্বরের ডা. গৌড়মোহন রায় কলেজের আংশিক সময়ের অধ্যাপক। লটারি কেনার নেশা নেই। তবে শখ মেটাতে বছরে এক-দু’ বার তিনি লটারির টিকিট কাটেন। তবে শুক্রবার লটারির টিকিট কাটার কোনও ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। এদিন সাধনবাবুর বন্ধুরা কার্যত জোর করেই তাঁকে বেশ কয়েকটি লটারির টিকিট কেটে দেন। কয়েক ঘণ্টারর মধ্যেই অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধেয় ফল বের হয়। তাতেই দেখা যায়, প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক কোটি টাকা জিতেছেন সাধনবাবু।
[আরও পড়ুন: এবার ১২ ঊর্ধ্বদের করোনার টিকা দিতে চায় কলকাতা পুরসভা, কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষায় মেয়র]
প্রথমে এই খবর তিনি বিশ্বাস করেননি। বেশ কয়েকবার টিকিটটি মেলাতেই সাধনবাবু নিশ্চিত হন যে এক কোটি টাকা জিতেছেন তিনিই। জানান, কুসুমগ্রামের একটি কাউন্টার থেকে ৩০ টাকা দিয়ে পাঁচটি টিকিট কেনা হয়। সাধন দাসের কথায়, “সেভাবে লটারির টিকিট কাটি না। বছরে দু-একবার শখ করে লটারির টিকিট কাটতাম। শুক্রবার দু-তিনজন বন্ধু একসঙ্গে ছিলাম। একপ্রকার জোর করে বন্ধুরা টিকিট কেটে দেয়। সন্ধেবেলায় ফলাফল প্রকাশ হতেই জানতে পারি, আমার টিকিটে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছি।”
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি সাধনবাবুর পরিবার। তবে লটারি জেতার টাকা দিয়ে তিনি এখন কী করবেন তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করেননি তিনি। বলছেন, অপূর্ণ সাধ পূর্ণ করার ইচ্ছে রয়েছে। জোর করে কেটে দেওয়া টিকিটে বন্ধু কোটিপতি হওয়ায় খুশি সাধনবাবুর বন্ধুরাও।