সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হবে আমানত। চিটফান্ড (Chit Fund) খুলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এমনই টোপ দিয়েছিলেন বালাসাহেব ভাপকর নামের এক ব্যক্তি। কয়েক বছরেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল ব্যবসা। পরবর্তীকালে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি প্রকাশ্যে চলে আসে। বালাসাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন একাধিক আমানতকারী। ওই মামলার শুনানিতে দোষীকে নজিরবিহীন শাস্তি দিল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক আদালত। ৪ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় ২৫০ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাল নিম্ন আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সাইপ্রসাদ গ্রুপ কোম্পানিজ’ খুলে চিটফান্ডের ব্যবসা শুরু করেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বালাসাহেব। সংস্থার তরফে প্রচার করা হয়, ৫ বছরের আমানত দ্বিগুণ হবে। কাজে আসে এই টোপ। ২০০৯ থেকে ২০১৬, এই সময়ে বহু মানুষ সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন। ওই টাকা আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে বলে দাবি করেছিল সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, সবটাই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি।
[আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় মৃত্যু বাবা-মায়ের, খবর পেয়েই দিল্লিতে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের]
এভাবেই দেশের ২০টি রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০০ জন আমানতকারী পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁরা অভিযোগ করেন, সুদ-বাবদ টাক মেটানো হচ্ছে না। মাঝে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির তরফেও কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয় কোম্পানির উপরে। যদিও ইচ্ছে মতো ব্যবসা চালানো থেকে সরে আসেননি বালাসাহেব ও তাঁর সংস্থা। এরপর একাধিক ধারায় বালাসাহেব-সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
[আরও পড়ুন: সুকান্তর আবেদনে সাড়া, আগামী সপ্তাহেই বাংলার বিজেপি সাংসদদের ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী]
সেই মামলাতেই সংস্থার কর্ণধার বালাসাহেব ভাপকরকে ২৫০ বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশের একটি নিম্ন আদালত। দেশে এতদিনের কারাবন্দির সাজা নজিরবিহীন ঘটনা। উল্লেখ্য, এছাড়াও অর্থ তছরুপে যুক্ত সংস্থার আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।