অমিত লাল সিং দেও, মানবাজার: দাবি মোতাবেক মেলেনি ল্যাপটপ কেনার টাকা। তাই বিয়ের আট মাসের মাথায় প্রথম স্ত্রীকে তাড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন পুরুলিয়ার এক যুবক। এই ঘটনায় শুক্রবার পুরুলিয়ার হুড়া থানায় স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতা বধূ। তিন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে হুড়া থানার পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের গত ১৭ জুলাই সাঁওতালডি থানার জোরাডি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় হুড়া থানার দান্দুডি গ্রামের সুতপা মাহাতোর। বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের দাবি মতো পণ হিসেবে নগদ এক লক্ষ টাকা-সহ সোনার অলংকার ও আসবাবপত্র দান সামগ্রী হিসাবে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি’র স্ক্যানারে শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটর অয়ন শীল, কে এই যুবক?]
নির্যাতিতা ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর তিনি এক মাস ভালভাবে শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তারপর ল্যাপটপ কেনার জন্য ওই বধূকে বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বাকিরা। কিন্তু ওই নববধূ তাঁর বাপের বাড়ি থেকে দাবি মতো টাকা আনতে পারেননি। আর এর পরেই ওই বধূর উপর তাঁর স্বামী-সহ বাকিরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। দিন দিন বাড়তে থাকে সেই অত্যাচার। অবশেষে গত ১০ মার্চ অভিযুক্তরা ওই বধূকে মারধর করে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ফলে ওই সময় থেকে নির্যাতিতা বধূ হুড়া থানা এলাকায় বাপের বাড়িতেই থাকতেন। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার বাপের বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর করে অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর মাসতুতো ভাই। তারপরেই ওই বধূ জানতে পারেন যে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।