সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে খুন করে প্রথমে হাত এবং পরে ধর থেকে মাথা আলাদা করে দিল স্বামী। এর পর স্ত্রীর মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল হরিয়ানার মানেসর জেলা।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩৪ বছরের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় নাকি নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে অভিযুক্ত। গত ২১ এপ্রিল মানেসরের একটি গ্রামে পুড়ে যাওয়া একটি দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যে দেহে ছিল না হাত ও মুন্ডু। এরপর তদন্তে নেমে তল্লাশি চালিয়ে ২৩ এপ্রিল কাটা হাতের হদিশ পাওয়া যায়। তারও তিন দিন পরে অন্য এক জায়গা থেকে এক মহিলার মুন্ডু উদ্ধার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ১০টা আইফোন চুরি, অর্ডার পৌঁছে দেওয়ার আগে ভুয়ো ফোন বাক্সে ভরে দিলেন ডেলিভারি বয়!]
মহিলার পোড়া মৃতদেহটি উমেদ সিং নামে এক ব্যক্তির জমি থেকে পাওয়া গিয়েছিল। তিনিই প্রথমে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগপত্রে জানান, “আমার এক প্রতিবেশী ফোন করে জানায় আমার ফার্মে যে দুটি ঘর রয়েছে, তার একটি থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যাচ্ছে। ফার্মে গিয়ে দেখি একটি দেহ পড়ে রয়েছে। যার বেশিরভাগটাই পুড়ে গিয়েছিল। সেই দেহের মুন্ডুও ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই।”
গুরুগ্রাম পুলিশ কমিশনার কালা রামচন্দ্রন জানান, অভিযুক্ত জীতেন্দ্রর বাড়ি গান্ধীনগরে। মানেসরে ভাড়ায় থাকত সে। কেন এমন নৃশংসভাবে স্ত্রীকে সে খুন করে, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত খুনের কারণ জানা যায়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে ঘটনার কথা সামনে আসতেই ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।