কল্য়াণ চন্দ, বহরমপুর: অন্য পাড়ার কিশোরীকে নিয়ে চম্পট দেয় সাইন শেখ নামের তরুণ। তারই জেরে যুবকের বাবাকে গণপিটুনি দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর ওই ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে হরিহরপাড়া থানার সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, সাইন শেখ নামে নিখোঁজ ওই কিশোরকে ফিরিয়ে দিতে হবে। নাহলে তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরিহরপাড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে জনতার ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার হরিহরপাড়া থানার চোয়া গ্রামের মিনারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কয়েকজন স্থানীয় প্রাথমিক হাসপাতালে রেখে দিয়ে চম্পট দেয়। বছর পঞ্চাশের মিনারুলকে মৃত অবস্থায় সেখানে ফেলে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় বহরমপুরে। এরপরই মিনারুলের দেহ নিয়ে হরিহরপাড়া থানার সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পরিবার। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নিখোঁজ সাইন শেখকে উদ্ধার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভারতের হারে সেলিব্রেশনের জের! দার্জিলিংয়ে ‘নিষিদ্ধ’ বাংলাদেশি পর্যটকরা]
প্রসঙ্গত, মিনারুল পেশায় ট্রাক চালক। তাঁর ছেলে সাইন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। অভিযোগ, সাইন তাঁর সহপাঠী তরুণীকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালায়। ওই ছাত্রীর পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে। পাশাপাশি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে সাইন শেখ তরুণীকে নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর মিনারুল গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। দিন তিনেক আগে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন মিনারুল। মিনারুলের স্ত্রী শাহানাজ বানু বলেন, বুধবার রাতে তাঁর স্বামীকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে পাঠানো হয়। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে খবর মেলে, হাসপাতালে মিনারুলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। শাহনাজ বানুর অভিযোগ, তাঁর ছেলেরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলেকে খুঁজে পেলে স্বামীকে হারাতে হত না তাঁকে। সেই কারণেই ছেলের খোঁজে পুলিশের দারস্থ তিনি। এদিকে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। আগামী চারদিনের মধ্যে নিখোঁজ সাইন শেখকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশ। সেই আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে।