shono
Advertisement

৪৫টি কুমিরের সঙ্গে ঘরসংসার, দিব্য আছেন বুরুন্ডির এই বাসিন্দা

'গৃহপালিত' কুমির! The post ৪৫টি কুমিরের সঙ্গে ঘরসংসার, দিব্য আছেন বুরুন্ডির এই বাসিন্দা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:15 PM Jan 06, 2019Updated: 07:46 PM Jan 09, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবে প্রেমই ঈশ্বর সেবার সেরা পথ। জীবনের অনেকটা সংগ্রামী পথ পেরিয়ে তা বুঝেছেন অ্যালবার্ট। অ্যালবার্ট এনগেনদ্রা। আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত, ছোট্ট দেশ বুরুন্ডির বছর পঞ্চাশের বাসিন্দা। গোটা ৪৫ কুমির যাঁর পরিবারের সদস্য। বাড়ির পিছনের অগভীর পুকুর যাদের নিরাপদ আশ্রয়।

Advertisement

আফ্রিকা মানেই ঘন জঙ্গল আর হিংস্র সব প্রাণীর জায়গা। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে আফ্রিকার বিশেষ গুরুত্ব আছে। বসুন্ধরায় সকলের বাসের অধিকার আছে, এই বিশ্বাসে পথ চলেন তাঁরা। তবে সবটাই এত সুন্দর, আলোকময় না। যে কুমির জলের আতঙ্ক, সেই কুমিরই বধ হয়ে চলে যায় খাবারের প্লেটে। শুনে চমকে গেলেও, এটাই বাস্তব। খিদের পেট অনেক সময়ে ভরে যাচ্ছে কুমিরের মাংসে। জলাশয়গুলোতে চোরাকারবারিদের হানা, নির্বিচারে কুমির নিধন। সাম্প্রতিক সময়ে এসবও ঘটছে আফ্রিকার পশুপ্রেমী দেশে। টাঙ্গানিকা হ্রদ, রুজিজি নদীর নিরাপদ আশ্রয় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কুমিরের দল। আর পাঁচজনের মতো অ্যালবার্ট নিজেও কুমিরভোজী ছিলেন। কিন্তু হৃদয়ের সূক্ষ্মতন্ত্রী বিবেকের দংশন টের পাওয়া মাত্রই উলটো পথে হেঁটেছেন। শুরু হয়েছে তাঁর নতুন লড়াই।

বুরুন্ডির রাজধানী বুজুমবুরা শহরে অ্যালবার্টের খামার বাড়িটি খুব বড়সড় নয়। সামান্য জঙ্গল, ছোট পুকুরে ঘেরা। সেখানেই নিশ্চিন্তে রোদ পোহায় ছোট, বড় মিলে অন্তত ৪৫টা কুমির। হাঁ মুখের ধারালো দাঁত, ইয়াবড় মাথা দেখে প্রতিবেশীরা প্রথমে ভয় পেতেন, প্রতিবাদও করতেন। কর্ণপাত করেননি অ্যালবার্ট। তাঁর কথায়, ‘আমার মন বদলে যাওয়ার পর আমি বাজার থেকে ১২টা কুমির কিনে আনি। সবাই ভেবেছিল, খাওয়ার জন্য কিনেছি। কিন্তু আমি ওদের লালনপালন করেছি, বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করেছি। সবাইকে এখন বলি, খাবারের প্লেটে ওদের পাওয়ার লোভ সামলান।‘

কুমিরের মতো হিংস্র প্রাণী কীভাবে নিজের বাড়িতে রেখে সামলান অ্যালবার্ট?  প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলছেন, ‘ওরা যতই আমার বশে থাকুক, আসল চরিত্র বদলানোর নয়। তাই ঝুঁকি নিয়ে ওদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার বোকামি আমি করি না।’ এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যাচ্ছে ক্রোকোডাইল হান্টার স্টিভ আরউইনের কথা। ভয়ঙ্কর জলজ প্রাণীদের পোষ মানাতে যাঁর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু খেলার ছলে সেই প্রাণীরাই হয়ে উঠেছিল তাঁর ঘাতক। অ্যালবার্ট তেমনটি নন। তিনি অনেক সাবধানী। শুধুমাত্র মানুষের বর্বরতা থেকে কুমিরের দলকে বাঁচাতে যা প্রয়োজন, সেটুকুই তিনি করছেন। বুরুন্ডি প্রশাসনের তরফে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে, কুমিরগুলোকে চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দেওয়ার। রাজি হননি অ্যালবার্ট। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের উপর ভরসা নেই তাঁর। বরং তাঁর আরজি, আফ্রিকার প্রাকৃতিক পরিবেশে, জনবসতি থেকে অনেক দূরে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হোক কুমিরদের।

The post ৪৫টি কুমিরের সঙ্গে ঘরসংসার, দিব্য আছেন বুরুন্ডির এই বাসিন্দা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement