শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: একের পর এক বিয়ে। অভিযুক্তকে ধরতে তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখল উত্তেজিত জনতা। স্ত্রীকে ছাড়াতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল গুণধর স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ডুর্য়াসের (Dooars) বানারগাট এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম পবিত্র রায়। ডুয়ার্সের বানারহাট থানার অন্তর্গত পূর্ব দুরমারি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। প্রথম স্ত্রী বিয়ের দু’বছরের মধ্যে আত্মহত্যা করেন। তার কিছুদিন পরই মাম্পি রায় নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন পবিত্র। কিন্তু তাতেও বিয়ের সাধ মেটেনি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল পবিত্রর। এদিকে মাম্পি ও পবিত্রর দুই কন্যা সন্তানও আছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আরও এক মহিলাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে পবিত্র। এতেই শুরু হয় অশান্তি।
[আরও পড়ুন: টিকিট কেটেও সফর করেননি যাত্রী! চলন্ত ট্রেনে বসেই বুক করা যাবে ফাঁকা আসন]
পবিত্রর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বানারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মাম্পি রায়। পবিত্র একের পর এক বিয়ে করায় পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করে গ্রামবাসীরাও। তাঁদের আরও অভিযোগ ছিল, তৃতীয় বিয়ের পরেও আরও কয়েকজন মহিলার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে পবিত্রর। এত অভিযোগ সত্ত্বেও অভিযুক্তকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। তাই পবিত্রকে ধরতে রবিবার তাঁর তৃতীয় স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসীরা। বউকে ছাড়াতে গেলে পবিত্রকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, পবিত্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।