সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন ছুটতে হয়, পেটের খিদে মেটাতে তখন ম্যাগির (Maggi Noodles) জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার আলসেমি করেই ম্যাগি দিয়ে উদরপূর্তি করে ফেলেন। মাত্র কয়েক মিনিটেই তো তৈরি হয়ে যায়! কিন্তু পেটের খিদে মেটানো এই ম্যাগির জন্যই ডিভোর্স হতে পারে? হতে পারে, এবং হয়েছে। এই ভারতবর্ষেই ঘটেছে এমন ঘটনা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন বিচারপতি এমএল রঘুনাথ।
মাইসুরুর জেলা আদালতের বিচারপতি এমএল রঘুনাথ। তিনি জানান, কর্ণাটকের বল্লারি এলাকার এক দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। স্বামীর অভিযোগ ছিল, স্ত্রী শুধুই ম্যাগি তৈরি করতে পারেন। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকী রাতেও ম্যাগি খেতে দেওয়া হয় তাঁকে। বাজার করতে গেলেও ম্যাগি কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। দিনের পর দিন ম্যাগি খেয়ে তিতিবিরক্ত তিনি। তাই ডিভোর্স চান।
[আরও পড়ুন: টালির ছাদে হেঁটে বেড়াচ্ছে সিংহ! চোখের সামনে দেখে শিউড়ে উঠলেন কৃষক, তারপর…]
ডিভোর্সের এই মামলা বেশ কিছুদিন চলে আদালতে। শেষপর্যন্ত পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ডিভোর্স হয়ে যায়। বিচারপতি রঘুনাথ জানান, ভারতে ডিভোর্সের হার ভীষণভাবে বাড়ছে। মাইসুরুতে পাঁচটি ফ্যামিলি কোর্ট আছে। প্রত্যেকটিকে গড়ে ৫০০ করে বিয়ে সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে মামলা চলছে। মোট মামলার অন্তত ৮০০টি বিবাহবিচ্ছেদের।
এই ‘ম্যাগি মামলা’র মতো আরও একাধিক মামলা রয়েছে। বিয়ের পোশাকের রং পছন্দ হয়নি, সঙ্গী ভাল করে কথা বলতে পারে না, খাবারের প্লেটের ভুল দিকে নুন দেওয়া হয়েছে – এমন অদ্ভূত অভিযোগেও ডিভোর্স চাওয়া হয়েছে। গ্রামের থেকে শহরেই ডিভোর্সের হার বেশি। কারণ গ্রামে অনেক মামলা আদালত দুয়ার পর্যন্ত আসে না। তার আগেই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা বিচারপতি এমএল রঘুনাথও করেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময় তাতে কাজ হয় না। খুব দম্পতির মধ্যে সমস্যা মেটানোর তাগিদ থাকে। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সন্তানদের কথা ভেবে একসঙ্গে থেকে যান বলেই জানান তিনি।