ধীমান রায়, কাটোয়া: দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে দেখা যায়নি শিক্ষিকাকে। তার পরিবর্তে কেন্দ্রে ক্লাস নিচ্ছেন তাঁর ভাড়া করা এক যুবক! অদ্ভুত এই ঘটনার সাক্ষী কাটোয়ার সুনিয়া শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। এতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ১ ব্লকের কোশিগ্রাম অঞ্চলের সুনিয়া গ্রামে যে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি রয়েছে তাতে ৩৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রেই আলাদা ভাবে চলে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। রয়েছেন একজন শিক্ষিকা। তাপসী বিশ্বাস নামে ওই শিক্ষিকার বাড়ি কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাপসীদেবী ঠিকমত স্কুলেই যান না। তার পরিবর্তে এক যুবক পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন! কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের আবাসন এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ মণ্ডল নামে ওই যুবক কেন্দ্রটি চালাচ্ছেন তাপসী বিশ্বাসের নির্দেশেই। গত পাঁচমাসে নাকি দুই শিক্ষিকাকে দেখা গিয়েছে ওই কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন:কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বিরল প্রজাতির হিমালয়ান সজারু পাচারের চেষ্টা, রেল পুলিশের জালে ৩ ]
গ্রামবাসী বন্দনা হাজরা, নীলু হাজরার কথায়, “ওই দিদিমণি আমাদের বলেছেন তাঁর নাকি শরীর খারাপ। তাই তিনি অন্য একজনকে ঠিক করে দিয়েছেন। তাঁকে দিদিমণি মাইনে দেন।” কাটোয়া পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পিনাকি ঘোষ বলেন, “যা শুনলাম তাতে এটা করা যায় না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাপসী বিশ্বাস বলেন, “আমার চারটি অপারেশন হয়েছে। শারীরিক সমস্যার কারণে সবদিন ক্লাস নিতে পারি না। সহযোগীতা করার জন্য একজনকে নিয়ে এসেছি৷ যেদিন ক্লাস নিতে পারি না সেদিন ওই ভাই ক্লাস নেয়।”
যদিও তাপসীদেবীর দাবি সহযোগিতা করার জন্য তিনি ফিরোজকে কোনও পারিশ্রমিক দেন না। তাই ভাড়া করার প্রশ্নই নেই। ফিরোজ মণ্ডল বলেন, “দিদিমনি অসুস্থ। তাই আমাকে উনি ওনার সহযোগী হিসাবে নিয়ে আসেন। আমি শিক্ষিত। ক্লাস নিই।”