অর্ণব দাস, বারাকপুর: শুক্রবারের পর ফের শনিবারেও খুন টিটাগড়ে (Titagarh)। ধারের টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরেই স্ক্রু ডাইভার দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। টিটাগড় পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের উড়ান পাড়া এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম মহম্মদ আবদুল ওরফে গুল্লা। বয়স ৪৩ বছর। পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন তিনি। বাড়ি উড়ান পাড়া এলাকায়।
শনিবার দুপুরের পর বাড়ির কাছেই একটি টোটোতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন গুল্লা। অভিযোগ, সেই সময়ই বন্ধু মুন্না আচমকা স্ক্রু ডাইভার নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। গলায় পর পর স্ক্রু ডাইভার দিয়ে আঘাত (Stab) করায় গুল্লার রক্তে ভেসে যায় টোটো। তখনই চম্পট দেয় অভিযুক্ত মুন্না। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি আহতকে উদ্ধার করে বারাকপুর (Barrackpore) বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক গুল্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: দত্তক নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা কেন! কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ রাজু বলেন, “গুল্লা ঘুমিয়েছিল, তখন মুন্না হামলা চালায়। গিয়ে দেখি গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। দুজনে বন্ধু ছিল। একসঙ্গে ওঠাবসা করত। কেন এমন ঘটনা ঘটল জানি না।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত মুন্নার থেকে ১৪০০ টাকা পেতেন গুল্লা। এদিন সকালে দুজনের দেখা হলে ধারের এই টাকা ফেরত দিতে বলেন তিনি। দুপুরে এলাকায় দেখা করে টাকা দেবে বলেও জানায় মুন্না। এরপরই এই খুনের (Murder) ঘটনা ঘটে।
[আরও পড়ুন: হাতে শাঁখা-পলা, সিঁথিতে সিঁদুর! ‘সেক্যুলার সাজছেন?’, মহালয়ায় দুর্গা সেজে ফের ট্রোলড নুসরত]
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে। কি কারণে এই খুন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত মুন্না এর আগে ২০০৮ সালে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার পারবারিক অশান্তির জেরে জামাইবাবুর কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে শ্যালকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের খুনের ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন টিটাগড় এলাকার বাসিন্দারা।