সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও ব্যক্তি দুয়ের বেশি তিনবার করোনা আক্রান্ত হলেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। আর সেখানে কিনা ৭৮ বার মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এক প্রৌঢ়! বিশ্বাস না হলে আবার পড়ুন। টানা ১৪ মাস ধরে পরপর ৭৮ বার কোভিড-১৯ থাবা বসিয়েছে ৫৬ বছরের ব্যক্তির শরীরে। আর এমন নজিরবিহীন ঘটনার জেরে রেকর্ড বুকে নাম উঠল তাঁর।
মুজাফ্ফর কায়াসন নামের তুরস্কের এক ব্যক্তির সঙ্গেই ঘটেছে এমন বিরলতম ঘটনা। ২০২০ সালে প্রথমবার করোনা আক্রান্ত (Corona Positive) হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় লিউকেমিয়ার চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তারপর থেকে হাসপাতালের চেনা রোগী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রায় প্রতি মাসেই হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছে তাঁকে। এই সুস্থ হয়ে ছাড়া পান, তো আবারও করোনা আক্রান্ত হয়ে ভরতি হতে হয়। এভাবেই কেটে গিয়েছিল অনেকগুলি মাস। নিতে পারেননি ভ্যাকসিনও। কারণ তুরস্ক সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী, পুরোপুরি কোভিডমুক্ত না হলে টিকা (Corona Vaccine) নেওয়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: পশুর মতো মুখ করলেই ট্রফি! বিখ্যাত ‘গার্নিং চাম্পিয়ানশিপে’র কথা জানেন?]
এমন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা কারও হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। মুজাফ্ফর বলছেন, প্রথমবার যখন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু ৭৮ বার এই অভিজ্ঞতা হওয়ায় বিষয়টা তাঁর কাছে জলভাতে পরিণত হয়েছে। ভাইরাস আর তিনি যেন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছেন। তবে এখন তিনি অনেকটাই ভাল আছেন। শরীরও চাঙ্গা বলেই জানাচ্ছেন মুজাফ্ফর।
একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, কোভিডের কারণে ৯ মাস হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে মুজাফ্ফরকে। বাকি পাঁচ মাস ইস্তানবুলে নিজের বাড়িতে ছিলেন আইসোলেশনে। মাসের পর মাস দূর থেকে ছেলে এবং স্ত্রীকে দেখতে পেতেন। কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না। অদম্য প্রাণশক্তিতে ভরা এই প্রৌঢ়ের চিকিৎসক জানাচ্ছেন, তিনি এমন ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হননি। তাঁর মতে, লিউকেমিয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াতেই হয়তো বারবার ভাইরাসের কবলে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। গত সপ্তাহে শেষবার আরটি-পিসিআর টেস্টেও মুজাফ্ফরের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।